নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ১ লাখ ২০ হাজার পিছ ইয়াবা, এ কাজে ব্যবহৃত মাইক্রোবাস এবং স্বামী-স্ত্রীসহ ৫ জনকে আটক করেছে র্যাব। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার ভোরে বসুন্ধরার জি ব্লকের রোড-১০ এর ১৫০ নম্বর বাড়িতে র্যাব-১ এর একটি দল এ অভিযান চালায়। উদ্ধারকৃত ইয়াবার আনুমানিক মূল্য ২ কোটি ১৬ লাখ টাকা।
আটককৃতরা হলেন- সিরাজুল ইসলাম রুবেল (৩২), তার স্ত্রী সুমাইয়া সুলতানা রিয়া ওরফে শিখা (২৪), মফিজুল ইসলাম (২৮), শাকের (২৪) ও জসিম উদ্দিন (২২)।
তিনি জানান, গার্মেন্টসের ঝুট ব্যবসার আড়ালে ইয়াবা বিক্রি ও সরবরাহের কাজ করে আসছিল রুবেল-রিয়া দম্পতি। এজন্য রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকাকে নিরাপদ মনে করে গড়ে তুলেছিল মাদকের ট্রানজিট। কক্সবাজার সীমান্ত থেকে ইয়াবা এনে রাখা হতো বসুন্ধরার ওই বাসায়। এরপর সেখান থেকে রাজধানী ও আশপাশ এলাকায় তা সরবরাহ করা হতো।
তিনি বলেন, আসামী সিরাজুল ইসলাম রুবেলের সঙ্গে গত দুইবছর আগে সুমাইয়া সুলতানা রিয়ার বিয়ে হয়। রুবেল এসএসসি এবং রিয়া এইচএসসি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন।
এ ছাড়া গ্রেফতার মফিজুল ইসলাম মাইক্রোবাস চালক, শাকের ও জসিম মাদক ব্যবসায়ী। তারা যাত্রীবেশে টেকনাফ থেকে মাদক বহনের কাজ করতো।
তিনি আরও জানান, ২০১৭ সালের জুলাইয়ে রাজধানীর গোলাপশাহ মাজার এলাকায় একটি রেস্টুরেন্টে বসে মাদক ব্যবসায়ী শাকের ও জসিমের সঙ্গে রুবেলের পরিচয় এবং পরবর্তীতে গভীর বন্ধুত্ব হয়। মূলত এই দুই মাদক ব্যবসায়ীর প্রস্তাবেই রুবেল ইয়াবা ব্যবসা শুরু করেন।
রুবেল আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নজর এড়িয়ে ইয়াবা ব্যবসায় পরিচালনা করতেই বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় বাসা ভাড়া নেয়। বাসা ভাড়ার ৪০ হাজার টাকা দিতেন দুই মাদক ব্যবসায়ী।
তিনি বলেন, তারা মাদক বহন ও রাজধানীসহ এর আশপাশের এলাকায় সরবরাহের জন্য রেজিষ্ট্রেশনবিহীন মাইক্রোবাস ব্যবহার করতো। এই গাড়িতে একেক সময় একেক নম্বর প্লেট ব্যবহার করা হতো।
জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা জানায়, টেকনাফ থেকে ইয়াবা ট্যাবলেট ঢাকায় পৌঁছানোর পর এর একটি অংশ নরসিংদী ও দোহারে সরবরাহের জন্য রুবেলের ফ্লাটে রাখা হতো।
আইনশৃংখলা বাহিনীর নজরদারি এড়াতে মাইক্রোবাসে তৈরি করা হয় বিশেষ প্রকোষ্ঠ। তাতে টেকনাফ ও কক্সবাজার থেকে লুকিয়ে আনা হয় ইয়াবা।
তিনি বলেন, ইতিপূর্বে এই চালান ছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি চালান খুলনা, যশোর, বেনাপোল এলাকায় পাঠানো হয়েছে।
আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে আরও কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ীর নাম পাওয়া গেছে। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ