মারুফ শরীফ, দেশজনতা প্রতিনিধি :
লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি এলডিপি’র চেয়ারম্যান ড. কর্ণেল অলি আহমেদ বীর বিক্রম বলেন, জিয়া অর্ফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও তাঁর ছেলে তারেক রহমানের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। এ দুইজন সরকারের রোষানলের শিকার। বেগম খালেদা জিয়াকে সরকার অন্যায়ভাবে আদালতের মাধ্যমে সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গতকাল সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে স্বাধীনতা অধিকার আন্দোলন আয়োজিত ‘খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও সংকটে আগামী জাতীয় নির্বাচন’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় ড. অলি এসব কথা বলেন।
কর্ণেল অলি বলেন, এক এগারোর সেনা সমর্থিত সরকারের সময় রাজনৈতিক অনেক নেতার বিরুদ্ধে মিথ্যা-বানোয়াট মামলা হয়েছে। বর্তমান সরকারের অনেক নেতার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল; কিন্তু রাজনৈতিক বিবেচনায় তাঁদের মামলাগুলো বাতিল করা হয়েছে। অথচ খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের মামলাগুলো চালু রেখে তাঁদের হয়রানি করা হচ্ছে।
সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত হয়ে বর্তমান সরকারের অনেক মন্ত্রী-এমপি স্বপদে বহাল আছেন, তাঁদের কারাগারে যেতে হয়নি। বেগম খালেদা জিয়াকে সাজা দিয়ে পরিত্যাক্ত নির্জন কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এলডিপি চেয়ারম্যান বলেন, খালেদা জিয়াকে কারামুক্ত করতে হলে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে, খালেদা জিয়াকে জেলে রেখে বিএনপি ও ২০ দল নির্বাচনে অংশ নেবে কি না। এখনই ঐক্যবদ্ধ হতে না পারলে আন্দোলন সফল হবে না। বর্তমান সরকার অত সহজে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেবে না বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির সাবেক এই নেতা।
শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক অধিকার আদায় করতে হবে বলে জোটের নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান অলি আহমদ। তিনি বলেন, কোনো সংঘাতে জড়িয়ে আমরা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্থ করতে চাই না। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা আমাদের জন্য এখন সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাই শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে তাঁকে কারাগার থেকে মুক্ত করে আনতে হবে। এর আর কোনো বিকল্প নেই।
সংগঠনের সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান মনির-এর সভাপতিত্বে গোলটেবিল এ আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমদ, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম, এলডিপির যুগ্ম সম্পাদক শাহাদাত হোসেন সেলিম।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ