লাইফ স্টাইল ডেস্ক:
ব্যস্ততার কারণে আমরা অনেকেই ঠিকমতো ত্বকের যত্ন নিতে পারি না। রুক্ষ্ম আবহাওয়া, দূষণের মাত্রা বেড়ে যাওয়া, তীব্র রোদের কারণে ত্বক রুক্ষ ও নিস্তেজ হয়ে পড়ে। এই রুক্ষ ত্বক নিয়ে অনেকেই অস্বস্তিতে পড়েন।
তাই দৈনন্দিন নানা ব্যস্ততার মাঝেও ত্বকের জন্য কিছু সময় অবশ্যই দিতে হবে। নিয়মিত যত্নে ত্বক হবে মসৃণ ও নমনীয়। প্রতিদিন আপনি ঘরোয়াভাবে ত্বকের যত্ন নিতে পারেন। রুক্ষ ও নিস্তেজ ত্বকের বিরুদ্ধে রুখতে কিছু ঘরোয়া উপাদানই যথেষ্ট। যেমন-
টকদই: এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও প্রদাহ প্রতিরোধী উপাদান রয়েছে। যা রুক্ষ ও খসখসে ত্বকের জন্য বেশ কার্যকরী।
অলিভ অয়েল: এতে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং স্বাস্থ্যকর ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে যা ত্বকের জন্য উপকারী। এটি ত্বককে শুষ্কতার হাত থেকে রক্ষা করে।
মধু: প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার এই উপাদানে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল এবং ময়েশ্চারাইজার ধরে রাখার মতো উপাদান রয়েছে। এটি ত্বকের ময়েশ্চারাইজার ধরে রাখার পাশাপাশি এতে থাকা প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজ উপাদান ত্বককে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল করে তোলে।
ঘি: এটি ত্বকের রুক্ষতা দূর করতে সাহায্য করে।
নারকেল তেল: এতে থাকা ফ্যাটি অ্যাসিড ত্বকের প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার ধরে রাখে।
ডিম ও টকদই: এই মিশ্রণটি ত্বকের মরা কোষ দূর করে এবং ত্বকের ময়েশ্চারাইজার ধরে রাখে।
ব্যবহার বিধি:
আপনি উপরের যেকোনো উপাদানই ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া ফেসমাস্ক হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন। এতে ত্বক প্রাকৃতিকভাবে ময়েশ্চারাইজ থাকবে।
আধা কাপ টকদইয়ের সঙ্গে এক ফোঁটা মধু বা লেবুর রস মিশিয়ে ব্ল্যান্ড করুন। মুখে লাগানোর ১০ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে একবার ব্যবহার করতে হবে। ডিমের সঙ্গে টকদই ও এক টেবিল চামচ নারকেল তেল, এক টেবিল চামচ অলিভ অয়েল, এক টেবিল চামচ কমলার রস, এক টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে মাস্ক তৈরি করে ফেলুন। মাস্কটি মুখে লাগানোর ১০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
এছাড়া নারকেল তেল এবং ঘি আলাদাভাবেও ব্যবহার করতে পারেন। গোসলের আগে সারা শরীরে এই উপাদানগুলো ম্যাসাজ করুন। গোসলের পর ত্বক হবে ময়েশ্চারাইজার। আপনি চাইলে ভিটামিন ই অয়েলও ব্যবহার করতে পারেন। ম্যাসাজ করার সময় নারকেল তেলের সঙ্গে ভিটামিন ই ক্যাপসুল মেশাতে পারেন। এতে ত্বক আরো বেশি মসৃণ ও স্বাস্থোজ্জ্বল হয়ে উঠবে।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি