আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
আন্তর্জাতিক মহলকে উত্তপ্ত করে পরমাণু ইস্যুতে মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড়িয়ে আছে যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়া। আর তারই জের ধরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ধাপে এ যাবতকালের সবচেয়ে বড় ও ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। পাশাপাশি সমুদ্রে উত্তর কোরিয়ার জাহাজ চলাচলে বাধাদান, আটক ও তল্লাশি করার নির্দেশ দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।
এদিকে, উত্তর কোরিয়ার ওপর নতুন করে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে চীন। কেননা এই নতুন নিষেধাজ্ঞার আওতায় উত্তর কোরিয়া শুধু নয়, সেইসঙ্গে বেশ কয়েকটি চীনা কোম্পানিও চলে আসায় চীন এর প্রতিবাদ করে। শুক্রবার দ্বিতীয় স্তরের এই ব্যাপকভিত্তিক নিষেধাজ্ঞার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ‘‘এবারের নিষেধাজ্ঞার পদক্ষেপেও যদি কাজ না হয়, তাহলে গোটা বিশ্বের জন্য তা হবে খুবই দুর্ভাগ্যজনক ব্যাপার।’’
সংবাদ সংস্থাগুলো জানায়, এই নিষেধাজ্ঞার কথা ঘোষণার পরপরই চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মার্কিনীদের এই পদক্ষেপকে হঠকারি বলে উল্লেখ করে। তারা এ ধরনের পদক্ষেপ থেকে সরে আসতে ট্রাম্প প্রশাসনের প্রতি আহবান জানায়। চীনের মূল ভূখণ্ড, হংকং এবং তাইওয়ানের জাহাজ ও জ্বালানি কোম্পানিগুলোও নতুন এই মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতায় এসেছে।
এ ব্যাপারে এক বিবৃতি চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, নতুন এই নিষেধাজ্ঞা ‘‘ দু’দেশের সম্পর্কে ক্ষতির কারণ হবে’’। তাছাড়া যুক্তরাষ্ট্র নিজের দেশের আইন অন্য দেশের ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছে। যা অন্যায় ও অসঙ্গত।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি