আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের কাছে বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত পূর্ব ঘোতা অঞ্চলে দেশটির সরকারি বাহিনীর বিমান হামলায় গত ৭দিনে নিহত হয়েছে নারী-শিশুসহ অন্তত ৫০০ জন। জাতিসংঘের ডাকা যুদ্ধবিরতির পরও অঞ্চলটিতে হামলা বন্ধ হয়নি, বরং সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, গত রোববার নিরাপত্তা পরিষদের এক বৈঠকে সিরিয়ায় ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত নেয় জাতিসংঘ। এর কিছু সময়ের মধ্যেই আবারও পূর্ব ঘোতায় বোমা হামলা চালায় সিরিয়া। রোববার ওই হামলার পর স্থানীয় বাসিন্দাদের শরীরে বিষাক্ত ক্লোরিন গ্যাসের লক্ষণ দেখা যায় বলে দাবি করেছে পূর্ব ঘোতার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ।
সিরিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন বিরোধী সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পূর্ব ঘোতার আল-সায়ফোনিয়া এলাকায় বড় একটি বিস্ফোরণের পর পরই আহত ব্যক্তি, অ্যাম্বুলেন্স চালক ও স্থানীয়রা বাতাসে ক্লোরিনের অস্তিত্ব টের পায়। এ সময় ১৮ জনকে জরুরি অক্সিজেন সেবা দেওয়া হয়েছে। প্রাণহানি হয়েছে কমপক্ষে এক শিশুর। রাসায়নিক হামলার বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি সিরিয়ার সেনাবাহিনী। তবে তারা এর আগেও বিভিন্ন সময়ে রাসায়নিক হামলার কথা অস্বীকার করেছে।
এ বিষয়ে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সিরীয় পর্যবেক্ষণ সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানায়, দমবন্ধ হয়ে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তবে কোনো বিষাক্ত গ্যাস ব্যবহার করা হয়েছে কি না তা নিশ্চিত নয়।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি