সিলেট প্রতিনিধি:
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে মৃত্যুপুরী হিসেবে পরিচিত ভোলাগঞ্জের পাথর কোয়ারিতে মাটিচাপায় রোববার রাতে দুই শ্রমিক নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় শফিকুল ইসলাম নামে শ্রমিক সর্দারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রাতেই অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন ও মাটি ধসে দুই শ্রমিক নিহতের পর লাশ গুমের অভিযোগে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। ওই মামলায় তাকে আসামি করা হবে।
এদিকে মাটি চাপা পড়ে নিহত শ্রমিকরা হলেন, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার মুরাদপুর গ্রামের হযরত আলীর ছেলে মতিউর রহমান ও আলী আকবরের ছেলে রুহুল আমিন।
এ ঘটনায় আহত তিন শ্রমিক হলেন- রুহেল (১৮), রফিকুল (১৬) ও ফিরোজ আলী (৪৫)। এদের মধ্যে ফিরোজ আলীর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, দারিদ্রতার সুযোগ নিয়ে মাত্র ৪ থেকে সাড়ে ৪’শ টাকা মজুরির লোভ দেখিয়ে কয়েকটি প্রভাবশালী পাথর লুটেরা চক্র রাতের আঁধারে শ্রমিকদের পাথর উত্তোলনে নামায়। এরপর কোয়ারির মাটিধসে শ্রমিক নিহত হলে কখনো লাশ গুম করা হয় আবার কখনো গণমাধ্যম সোচ্চার হলে থানায় মামলা হয়। কোম্পানীগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) দিলিপ নাথ গণমাধ্যমকে জানান, নিহত ২ শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সুনামগঞ্জের জামালঞ্জের এক শ্রমিক সর্দারকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি