স্পোর্টস ডেস্ক:
ব্যাপারটা এই মুহূর্তে প্রশ্নবোধক চিহ্ন হয়ে ঝুলে আছে। কিন্তু ওটা ঘটে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। ক্রিকেটে সৌদি আরবের তেমন আগ্রহ আছে বলে শোনা যায়নি সেভাবে কখনো। কিন্তু সামান্য ক্রিকেট ইতিহাস তাদেরও আছে। আর ক্রিকেটের নতুন সংস্করণ টি-টেনকে বৈশ্বিক করতে দ্বিতীয় পদক্ষেপ হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে সৌদি আরবকে। সব ঠিক থাকলে ১০ ওভারের ক্রিকেটের জমজমাট পরের আসরটি দেখা যাবে আরবেই।
গত ডিসেম্বরে শারজাহতে প্রথমবারের মতো বসে টি-টেন লিগ। এখন সেটি ডানা মেলতে চাইছে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ওই মহাদেশের আরো কিছু গন্তব্যে। টি-টেন লিগের চেয়ারম্যান শাজি আল মুলক জানিয়েছেন, সৌদি আরবকে টি-টেন লিগের পরবর্তী ভেন্যু হিসেবে খুব গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে।
‘সৌদি আরব এই ব্যাপারে দারুণ আগ্রহ দেখিয়েছে। প্রথম সুযোগই তারা টি-টেন লিগ আয়োজন করতে আগ্রহী।’ টি-টেন লিগের জেনারেল ম্যানেজার মাজহার খান বলেছেন, ‘প্রথম ফাইনালটি ১৫,০০০ দর্শক মাঠে বসে দেখেছেন। মাঠের কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, আরো ৭,০০০ দর্শক স্টেডিয়ামের বাইরে খেলা দেখেছেন।’
প্রথম ওই আসরটি ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশে সরাসরি টেলিভিশনে দেখানো হয়েছিল। টুর্নামেন্টটিতে বীরেন্দর শেবাগ, ইয়ন মরগ্যান, শহিদ আফ্রিদির মতো সুপারস্টাররা খেলেছেন। এখনো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের শীর্ষ পর্যায়ে যারা খেলছেন তাদের মধ্যে ডোয়াইন ব্রাভো, মোহাম্মদ আমির, সরফরাজ আহমেদ, অ্যালেক্স হেলসরাও ছিলেন আসরটিতে। মুলকের মালিকানার ফ্রাঞ্চাইজি কেরালা কিংস জিতেছিল শিরোপা। দলটিকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক ইয়ন মরগ্যান।
শুদ্ধবাদীরা হয়তো সৌদি আরবে টি-টেন ক্রিকেট আসর আয়োজন নিয়ে ভিন্ন মত দিতে পারেন। কিন্তু মুলকরা খেলাটি ছড়িয়ে দিতে চান। এছাড়া এটা করলে সৌদি আরবে ক্রিকেটের প্রতিষ্ঠা পাওয়ার কাজটিও সহজ হতে পারে বলে মানেন আয়োজতরা। ২০০৮ সালের এসিসি ট্রফিতে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে হারিয়ে চমকে দিয়েছিল সৌদি আরব। কিন্তু তার পর থেকে তাদের সাফল্যের আর তেমন খবর মেলেনি।
তবে ফুটবল খুব জনপ্রিয় সৌদি আরবে। দেশটির প্রধান খেলা বিবেচনা করা হয় ফুটবলকে। ১৯৯৪ যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠেছিল সৌদি আরবের জাতীয় ফুটবল দল। সেকার সাইদ আল-ওয়াইরান বেলজিয়ামের বিপক্ষে ১-০ গোলে জেতা ম্যাচে যে গোলটি করেছিলেন সেটিকে ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা গোল ধরা হয়। এছাড়া কিং ফাহাদ কাপ, যেটি কনফেডারেন্স কাপ নামে এখন পরিচিত সেটি তিনবার হয়েছে সৌদি আরবে। সূত্র : আরব নিউজ।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ