আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
উত্তর কোরিয়ার ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন, এবারের নিষেধাজ্ঞা এযাবৎকালের মধ্যে সবচেয়ে বড়। শুধু নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিয়েই ক্ষান্ত হননি ট্রাম্প, বলেছেন, নিষেধাজ্ঞা প্রথম পর্যায়ের পদক্ষেপ। এতে কাজ না হলে ভিন্ন দাওয়াইয়ের ব্যবস্থা করা হবে।
গতকাল শুক্রবার ওয়াশিংটনের কাছে রিপাবলিকান পার্টির এক সভায় নতুন নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘আজ আমরা একটি দেশের ওপর এযাবৎকালের সবচেয়ে বড় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছি।’ বিভিন্ন সূত্র জানায়, নতুন এই নিষেধাজ্ঞা মূলত নৌচলাচল ও বাণিজ্যসংক্রান্ত।
শীতকালীন অলিম্পিকে দক্ষিণ কোরিয়ায় গিয়ে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র সারাহ স্যান্ডার্স সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমরা আশা করব, কোরীয় উপদ্বীপকে পরমাণুমুক্ত করতে উত্তর কোরিয়ার আচরণে কিছু পরিবর্তন আসবে। আমাদের মূল লক্ষ্যও তাই।’ তিনি বলেন, আগে যে ভুল করা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তা করবেন না। তিনি উত্তর কোরিয়ার ওপর নরম বা দুর্বল হবেন না।
গতকাল দেওয়া ট্রাম্পের ভাষণে উত্তর কোরিয়ার ৫৬ নৌযান, নৌযান নির্মাণ প্রতিষ্ঠান ও বাণিজ্যের নাম উল্লেখ ছিল। ভাষণে এসবের নাম উল্লেখ করেননি ট্রাম্প। তিনি শুধু নিষেধাজ্ঞার কথাই বলেন। আবার তিনি এটাও বলেছেন, ‘আমি সত্যিই মনে করি ইতিবাচক কিছু ঘটবে।’ এরপর গতকাল অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুলের সঙ্গে বৈঠকের পর এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, নিষেধাজ্ঞা হলো প্রথম পদক্ষেপ। তিনি বলেন, এই প্রথম পদক্ষেপে কাজ না হলে দ্বিতীয় ধাপে যেতে হবে। এই ধাপ ভয়ানক হবে।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি