লাইফ স্টাইল ডেস্ক:
পরিষ্কার ঘর, ঝকঝকে আসবাব, কোথাও ধুলো ময়লা থাকবে না, এমন একটি বাড়িই চাই সবাই। আর সব পরিষ্কারের জন্য আমরা ক্লিনিং প্রোডাক্টস ব্যবহার করি। ফ্রিজ, টিভি, ঘরের মেঝে, কিচেন সিঙ্ক, বেসিন, গ্লাসসহ নানারকম আসবাব চকচকে দেখাতে ক্লিনিং স্প্রে যেন না হলেই নয়।
কিন্তু সম্প্রতি একটি গবেষণা বলছে, প্রতিদিন ক্লিনিং প্রোডাক্ট ব্যবহারে ফুসফুসের যে পরিমাণ ক্ষতি হয় তা প্রতিদিন এক প্যাকেট সিগারেট গ্রহণ করার সমান! প্রতিদিন ২০টি সিগারেট খাওয়া আর ক্লিনিং স্প্রে ব্যবহার করা একই কথা! প্রায় ছয় হাজারেরও বেশি মানুষের ওপর ২০ বছর ধরে গবেষণা করে দেখা গেছে, এসব ক্লিনিং পণ্য ব্যবহারে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকির আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষ করে নারীরা এর ফলে দীর্ঘমেয়াদি ফুসফুসের রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন।
কোনো নারী বাসার কাজে একটানা ১০ থেকে ২০ বছর ধরে ক্লিনিং পণ্য ব্যবহার করলে, তার স্বাস্থ্যগত ক্ষতির পরিমাণ প্রতিদিন ২০টি সিগারেট খাওয়ার সঙ্গে তুলনা করেছেন গবেষকেরা। ধুমপান না করেও নারীরা ক্লিনিং পণ্য ব্যবহারের ফলে যেসব রোগে আক্রান্ত হতে পারেন-
• ফুসফুস, গলা ও মুখে ক্যান্সার
• ব্রঙ্কাইটিস, নিউমোনিয়া
• বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট
• হৃদরোগ
নরওয়ের বার্গেন বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক ও গবেষক সিসাইল সভেন্স বলেন, যারা বাড়িতে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজে রাসায়নিক পণ্য ব্যবহার করেন, তাদের ফুসফুস ও শ্বাসযন্ত্রে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে। কারণ এগুলোতে ব্লিচ ও অ্যামোনিয়া থাকে।
জোরে শ্বাস ফেললে কী পরিমাণ বাতাস বের হয় তা পরীক্ষা করে প্রথমে গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের ফুসফুসের ফাংশন পরীক্ষা করা হয়।
অংশগ্রহণকারীরা কে কী পরিমাণ ক্লিনিং পণ্য ব্যবহার করে জানতে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয় একটি প্রশ্নপত্র। এরপর তাদের উত্তরের সঙ্গে ফুসফুসের ফাংশন তুলনা করা হয়। কেমিক্যাল পণ্য বাদ দিয়ে ধোঁয়ামোছার কাজে নরম কাপড় ও পানি ব্যবহার করা যায়।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি