নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেনাবাহিনীকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, ‘বিভিন্ন কাজে সেনাবাহিনী তাদের দক্ষতা প্রদর্শন করেছে। সংবিধান ও দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আপনাদের ঐক্যবদ্ধ থেকে অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক যেকোনো হুমকি মোকাবিলায় সবসময় প্রস্তুত থাকতে হবে।’ বৃহস্পতিবার নাটোরের কাদিরাবাদ সেনানিবাসে আর্মি ইঞ্জিনিয়ার সেন্টার অ্যান্ড স্কুল অব মিলিটারি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের ৬ষ্ঠ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
দেশের অগ্রগতিতে সেনাবাহিনীকে অবদান রাখার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের গণতান্ত্রকে সাংবিধানিকভাবে অব্যাহত রাখার পাশাপাশি আধুনিক, উন্নত ও সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ নির্মাণে সেনাবাহিনীকে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে হবে।’ শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সঙ্গে আমাদের সুদৃঢ় পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে। আমার দুই ভাই শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল ও শহীদ লে. শেখ জামাল মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন।
শেখ জামাল ১৯৭৫ সালে রয়াল মিলাটারি সেন্ট হার্স্ট থেকে নিয়মিত প্রশিক্ষণের পর কমিশন শেষে সেনাবাহিনীতে যোগ দেয়। আমি আপনাদের মাঝে আমার হারানো ভাইদের খুঁজে পাই।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কোর অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি গুরুত্বপূর্ণ ও ঐতিহ্যবাহী সংগঠন। এ কোরের রয়েছে গৌরবোউজ্জ্বল ও আত্মত্যাগের ইতিহাস।’ সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘দীর্ঘদিন আমরা সরকারে আছি। তাই দেশ উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা লিস্ট ডেভেলপড কান্ট্রি না, আমরা ডেভেলপিং কান্ট্রি। দেশকে এগিয়ে নিতে আমরা ব্যাপকভাবে কাজ করছি। দেশের সব ছেলে-মেয়ের লেখাপড়া থেকে শুরু করে সার্বিক বিষয় নিয়ে কাজ করছি। আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ চালু করেছি।
এখন সারাদেশে ইন্টারনেট সার্ভিস আছে। প্রতিটি প্রতিষ্ঠান সেই ডিজিটাল ব্যবস্থা প্রবর্তন করে নিজেদের আধুনিক যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাওয়ার সক্ষমতা অর্জন করেছে। আমরা দেশের সব মানুষের হাতে হাতে মোবাইল ফোন পৌঁছে দিয়েছি। আমরা থ্রিজি চালু করেছি, এখন ফোরজি চালু করছি।’ বিমান বাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে চড়ে সকাল ১১টার দিকে প্রধানমন্ত্রী কাদিরাবাদ সেনানিবাসে পৌঁছান।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি