আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
প্রথম থেকেই স্ত্রীর একটু সন্দেহবাতিক ছিল। কিন্তু সময়ের সঙ্গে তা যে এত গুরুতর আকার ধারণ করবে স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি আজাদ সিং। কেবলমাত্র সন্দেহের বশেই স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে কমোডে ফেলে দিল তার স্ত্রী। আশঙ্কাজনক অবস্থায় এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন স্বামী আজাদ।
জানা গিয়েছে, জলন্ধরের যোগিন্দর নগরের বাসিন্দা আজাদ। প্রায় এক দশক আগে তাঁর বিয়ে হয় সুখবন্ত কৌরের সঙ্গে। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই আজাদ বুঝতে পারেন স্ত্রী সন্দেহপ্রবণ। তিনি কোনও মহিলার সঙ্গে সাধারণভাবে কথা বললেও সহ্য করতে পারে না সে। স্ত্রীর এ স্বভাব মেনে নিয়েছিলেন জলন্ধরের যুবক। বুঝতে পারেননি এই স্বভাবই পরবর্তীকালে তাঁর কাল হয়ে উঠবে। কয়েকদিন আগে সুখবন্তের ধারণা হয় স্বামীর অন্য মহিলার সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে। এই সন্দেহের বশেই স্বামীর পুরুষাঙ্গটিই কেটে দেয় সে। পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার রাতে এই কাণ্ড ঘটায় ওই স্ত্রী। রাতে নিজের ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন আজাদ। সেই অবস্থাতেই সুখবন্ত রড দিয়ে তাঁর মাথায় আঘাত করে। আঘাতে আজাদ বেহুঁশ হয়ে গেলে তাঁর পুরুষাঙ্গটি কেটে নেয় সুখবন্ত। তারপর সেটি কমোডে ফেলে দেয় জলন্ধরের গৃহবধূ।
হুঁশ ফেরার পর যন্ত্রণায় চিৎকার করে ওঠেন আজাদ। তাঁর আর্ত চিৎকারেই পরিবারের সদস্যরা ছুটে আসেন। সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে ভরতি করা হয় তাঁকে। পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন আজাদের বাবা। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই সুখবন্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজাদের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন ডাক্তাররা। দম্পতির দুই সন্তানও রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি