স্পোর্টস ডেস্ক:
জানুয়ারি মাসে অ্যাশেজ শেষ হওয়ার পাঁচদিনের মাথায় পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাঠে নেমে পড়ে ইংল্যান্ড। এর পাঁচদিন পর ট্রান্স-তাসমান ত্রিদেশীয় টি-টুয়েন্টি সিরিজে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আবার মাঠে নামে ইংলিশরা। গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচ জিতেও আগের দুই ম্যাচ হারার কারণে সিরিজের ফাইনালে যেতে পারেনি দলটি। সামনে আবার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজে মাঠে নামবে তারা। তাই নভেম্বর থেকে টানা খেলার মধ্যে থাকা দলটির কোচ ট্রেভর বেইলিস প্রশ্ন তুলেছেন ব্যস্ত সূচির মাঝে আন্তর্জাতিক টি-টুয়েন্টির প্রয়োজনীয়তা নিয়ে।
২০০৫ সালে আন্তর্জাতিক টি-টুয়েন্টি আবির্ভাবের দু’বছর পরই এই ফরম্যাটের প্রথম বিশ্বকাপ আয়োজিত হয়। তারপর থেকে এটি নিয়মিত আয়োজনই। এছাড়া ২০০৮ সালে আইপিএলের আবির্ভাবের পর থেকে ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টি-টুয়েন্টির চাহিদাও বেড়ে গেছে। এর সাথে ক্রিকেটের প্রতিষ্ঠিত ফরম্যাট- টেস্ট ও ওয়ানডের আন্তর্জাতিক সূচি তো রয়েছেই। এখন প্রায় প্রতিটি দ্বিপক্ষীয় সফরেই অন্তত দুটি টি-টুয়েন্টি ম্যাচ খেলা হয়। অস্ট্রেলিয়ান বংশোদ্ভূত কোচ বেইলিস আগে আইপিএল ও বিগ ব্যাশের মত বৈশ্বিক টি-টুয়েন্টি লিগে কোচিং করিয়েছেন। তার মতে আন্তর্জাতিক ম্যাচ বাদ দিয়ে শুধু ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টি-টুয়েন্টিই যথেষ্ট, ‘আমার উপরে থাকলে আন্তর্জাতিক টি-টুয়েন্টি খেলতাম না। আমি ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে খেলতে দিতাম।’
বেইলিসের মতে, আন্তর্জাতিক টি-টুয়েন্টি ম্যাচগুলো না থাকলে চাপ অনেকটাই কমে যাবে। নয়ত এত চাপা সূচির ফলে খেলোয়াড়রা তো বটে কোচরাও ভেঙে পড়বেন, ‘এত ম্যাচ চাপিয়ে দেয়া হতে থাকলে শুধু খেলোয়াড়রা নন কোচরাও ভেঙে পড়বেন।’
তবে টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ ও আন্তর্জাতিক টি-টুয়েন্টির একটা বিকল্প পথ দেখিয়েছেন বেইলিস, ‘আপনি যদি চার বছর বা যেকোন সময়ের ব্যবধানে টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে চাইলে টুর্নামেন্টের ছয় মাস আগে কিছু ম্যাচ খেলতে পারে দেশগুলো।’
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি