২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ভোর ৫:১৬

পুঁজিবাজার ধসের কারণ খুঁজতে বিএসইসি’র নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

চলতি বছরের শুরু থেকে পুঁজিবাজারের সূচক ও লেনদেনে মন্দা অব্যাহত রয়েছে। লেনদেন ও সূচকের টানা দর পতনে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে নতুন করে ভীতির সৃষ্টি হচ্ছে। এই দরপতনে কোনো কারসাজি রয়েছে কিনা, তা অনুসন্ধানে উভয় স্টক এক্সচেঞ্জকে নির্দেশ দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা।বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) সূত্রে জানা যায়, বাজারের অব্যাহত পতনে বিনিয়োগকারীদের মতো নিয়ন্ত্রক সংস্থাও চিন্তিত।

তাই বাজারে কোনো কারসাজি, অনিয়ম রয়েছে কিনা, তা জানতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জকে (সিএসই) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সূত্র জানায়, সদ্য সমাপ্ত সপ্তাহে বিনিয়োগকারীদের সক্রিয়তায় ঘুরে দাঁড়িয়েছিল পুঁজিবাজার। কিন্তু গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবারের পর চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসেও দর পতনে ভুগেছে বাজার। রোববার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক মূল্য সূচক কমেছে ৯৯ পয়েন্ট ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সাধারণ মূল্য সূচক কমেছে ১৪৮ পয়েন্ট।

রোববার ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানি ও ফান্ডগুলোর মধ্যে দর কমেছে ৮০.৩৫ শতাংশ বা ২৭০টির। এসময় দর বেড়েছে ৪৯টির ও দর অপরিবর্তিত ছিল ১৭টি প্রতিষ্ঠানের। এসময় ডিএসইতে ১৩ কোটি ২৮ লাখ ৮৪ হাজার ৯টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

অব্যাহত বিক্রয় চাপে এদিন ডিএসই’র সার্বিক লেনদেন ৫০০ কোটি টাকার নিচে নেমে এসেছে। যদিও আগের কার্যদিবসে ডিএসইতে ৫০০ কোটি টাকার অধিক লেনদেন হয়েছে। রোববার ডিএসইতে ৪৪০ কোটি ২৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। এর আগে গত সপ্তাহের সর্বশেষ কার্যদিবসে (বৃহস্পতিবার) ডিএসইতে ৫১২ কোটি ১৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

দিনশেষে ডিএসই’র সার্বিক মূল্য সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯৯.৪৩ পয়েন্ট। এসময় ডিএসই’র প্রধান সূচক ৫৯৫০.৭৫ পয়েন্টে স্থিতি পায়। এসময় শরীয়াহ্ ভিত্তিক কোম্পানিগুলোর মূল্য সূচক কমেছে ১০.৭৯ পয়েন্ট ও ডিএস-৩০ সূচক কমেছে ৩৭.৩৮ পয়েন্ট।
এদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন হওয়া ২২৭টি কোম্পানির মধ্যে দর কমেছে ১৭৮টির, দর বেড়েছে ৩৭টির ও দর অপরিবর্তিত ছিল ১৪টি প্রতিষ্ঠানের। এসময় সিএসইতে ৩০ কোটি ৫ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ

প্রকাশ :ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৮ ১২:৪৬ অপরাহ্ণ