নিজস্ব প্রতিবেদক:
দরপতনের বৃত্ত থেকে বেরিয়ে টানা ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় রয়েছে দেশের শেয়ারবাজার। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) মূল্য সূচক বেড়েছে। এর মধ্য দিয়ে টানা চার কার্যদিবস ঊর্ধ্বমুখী থাকলো দেশের পুঁজিবাজার।
তবে মূল্য সূচক বাড়লেও ডিএসইতে লেনদেন হওয়া বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম কমেছে। সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণও।
এ দিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ১১৯টি বা ৩৭ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বেড়েছে। অপরদিকে দাম কমেছে ১৬২টির বা ৫০ শতাংশের এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪১টি বা ১৩ শতাংশের দাম।
ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৫২৩ কোটি ৯১ লাখ টাকা। আগের দিন অর্থাৎ বুধবার লেনদেন হয় ৫৪৪ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় ২০ কোটি ৫৩ লাখ টাকা লেনদেন কমেছে।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইয়ের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৪১৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। প্রধান সূচকের পাশাপাশি বেড়েছে ডিএসই-৩০ সূচকটি।
এ সূচক ২ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১১ পয়েন্টে। তবে কমেছে ডিএসই শরিয়াহ সূচক। এই সূচকটি আগের দিনের তুলনায় ৩ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২৬০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে রতনপুর স্টিল রি-রোলিং মিলসের শেয়ার। এদিন কোম্পানির ২৯ কোটি ৫৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
২৩ কোটি ৭৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে লেনদেনে দ্বিতীয় স্থানে থাকা অ্যাকটিভ ফাইনের। ১৮ কোটি ৫৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইফাদ অটোস।
এরপর রয়েছে- ইউনাইটেড পাওয়ার গ্রীড, মোজ্জাফর হোসেন স্পিনিং মিলস, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল, ডরিন পাওয়ার, বেক্সিমকো এবং ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সিএসসিএক্স সূচক ১২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ১৬০ পয়েন্টে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৩২ কোটি ৯০ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৪০ কোটি ৮০ লাখ টাকা।
বৃহস্পতিবার সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৩০টি ইস্যুর মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৬টির, কমেছে ১০১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৩টির দাম।
দৈনিক দেশজনতা/এমএইচ