নিজস্ব প্রতিবেদক:
নড়াইলের দিঘলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা লতিফুর রহমান পলাশকে গুলি করে হত্যায় জেলা আ’লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শরীফ মনিরুজ্জামানসহ ১৫ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। শনিবার রাত পৌনে ১২টার দিকে লোহাগড়া থানায় এ মামলা করেন নিহত পলাশের বড় ভাই জেলা পরিষদের সদস্য সাইফুর রহমান হিলু।
পনেরজনের মধ্যে উল্লেখযোগ্য অপর আসামিরা হলেন- লোহাগড়া উপজেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মাসুদজ্জামান মাসুদ, দিঘলিয়ার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ইমতিয়াজ আহম্মেদ মাসুম, দিঘলিয়া ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি স ম ওহিদুর রহমান, আ’লীগ নেতা শরীফ মনিরুজ্জামানের ভাই শরীফ বাকি বিল্লাহ, একাধিক হত্যা মামলার আসামি সোহেল খান, শেখ বনিরুল ইসলাম বনি, শেখ পনিরুল ইসলাম কটো, হেমায়েত হোসেন। আসামিদের অধিকাংশের বাড়ি দিঘলিয়া ইউপির কুমড়ি গ্রামে।
মামলার বাদী সাইফুর রহমান হিলু বলেন, আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। আমরা ন্যায় বিচার প্রত্যাশা করি। নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক লতিফুর রহমান পলাশকে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি দুপুর পৌনে ১২টার দিকে উপজেলা পরিষদ চত্বরে গুলি করে এবং কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। তার শরীরে একাধিক গুলি ও কোপের চিহ্ন ছিল।
এদিকে, সদর হাসপাতালে নিহত পলাশের ময়নাতদন্ত শেষে গত শুক্রবার বিকাল ৩টায় লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে তার জানাজা হয়। পরে দিঘলিয়া ইউনিয়নের কুমড়ি গ্রামের বাড়িতে চেয়ারম্যান পলাশকে দাফন করা হয়। জানাজায় উপস্থিত লোহাগড়া উপজেলা আ.লীগের সভাপতি সিকদার আব্দুল হান্নান রুনু বলেন, পলাশ হত্যায় জড়িতদের চিহ্নিত করে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।
এসময় পলাশের ভাই মুক্ত রহমান বলেন, পুলিশ ইচ্ছা করলে ৭০ হাত মাটির নিচেরও অপরাধী খুঁজে বের করতে পারে। আশা করছি, আমার ভাইয়ের খুনিদের শনাক্ত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে। প্রকৃত অপরাধীদের যেন আড়াল করা না হয়-সেদিকে পুলিশ সুপার, জেলা আ.লীগের সভাপতিসহ সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।
মুক্ত রহমান পুলিশ সুপারসহ দলীয় নেতাদের উদ্দেশে বলেন, খুনিরা যদি আওয়ামী লীগ দলীয় হয়- তাহলে তাদের আটক করতে সহায়তা করবেন কিনা? জবাবে পুলিশ সুপারসহ নেতারা বলেন, খুনিরা যেই হোক তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ