লাইফ স্টাইল ডেস্ক:
ব্যক্তিভেদে ঝালের সহ্য ক্ষমতা ভিন্ন হয়ে থাকে। মরিচের ঝাল পরিমাপের জন্য সাধারণত স্কোভাইল স্কেল ব্যবহার করা হয়। পৃথিবীর সব থেকে বেশি ঝাল মরিচের মধ্যে ড্রাগন’ ব্রেথকে, ঘোস্ট পিপার, নাগা মরিচ অন্যতম। এসব মরিচের ঝাল ৮ লাখ স্কোভাইল থেকে সাড়ে ১০ লাখ স্কোভাইলের মধ্যে। এই মরিচগুলোর যে কোনো একটি প্রজাতির গোটা একটা মরিচ খেলে যে কারোর শরীরে মারাত্মক প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।
শুধু মরিচ খেতে বললে অনেকেই হয়ত পিছিয়ে যাবে কিন্তু ঝাল আর কড়া মশলার খাবারের বেলায় ভিন্নচিত্র লক্ষ্য করা যায়। ঝাল ঝাল কড়া মশলার খাবারের প্রতি অনেকেরই রয়েছে বিশেষ দুর্বলতা। থাই ফুড, মেক্সিকান ফুড, চাইনিজ ফুড, ইন্ডিয়ান ফুড কিংবা ইথিওপিয়ান ফুডের অনেক খাবারেই কড়া মশলার উপস্থিতি লক্ষ করা যায়। মশলার প্রতি মানুষের এই দুর্বলতার কারণেই সারা বিশ্বের খাদ্য রসিকদের কাছে দারুণ জনপ্রিয় এসব খাবার। মূলত অতিরিক্ত ঝাল আর মশলার কারণে এসব খাবার সুগন্ধি এবং চিত্তাকর্ষক হয়ে ওঠে মানুষের কাছে।
তবে ঝাল খাবারের সঙ্গে আবহাওয়ার একটি সম্পর্ক খুঁজে পেয়েছেন গবেষকরা। তাদের মতে, যেসব অঞ্চলের তাপমাত্রা অনেক বেশি থাকে সেখানকার মানুষের কাছে ঝাল খাবারের চাহিদা বেশি। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের খাবারের ইতিহাস এবং খাবারে ব্যবহূত মশলার প্রকৃতি বিশ্লেষণ করে তারা এ তথ্য দিয়েছেন। তাদের মতে, যেসব অঞ্চলে অতিরিক্ত গরম সেখানে সাধারণত দ্রুত খাবার নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু খাবারে বেশি করে ঝাল-মশলা দিলে সহজে নষ্ট হয় না। ঝাল-মশলার খাবারে ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণও কম হয়। তীব্র গরম অঞ্চলের মানুষের গরম কমাতেও নাকি সাহায্য করে কড়া ঝাল-মশলার খাবার। অতিরিক্ত ঝাল খাওয়ার কারণে অনেকে ঘেমে যান। মানুষের শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণেও নাকি ঝালের ভূমিকা রয়েছে। এসব কারণ থেকেই হয়ত ঝাল-মশলার খাবারের প্রতি মানুষের দুর্বলতাটা একটু বেশি।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি