লাইফ স্টাইল ডেস্ক:
আপনার কি মনে আছে সর্বশেষ আপনি কবে বই পড়ার জন্য সেটি হাতে তুলে নিয়েছেন? যদি উত্তর হয় ‘না’ তাহলে এখনই শরীর সুস্থ থাকাকালীনই একটি বই হাতে তুলে নিন। হ্যাঁ, বই পড়া আপনাকে মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে সহায়তা করবে।
অজানা বিশ্বকে জানার পাশাপাশি বই আপনার মনোযোগের উন্নতিতে এবং ঘুমেও সহায়ক হবে। জানতে চান কীভাবে? তাহলে পড়ুন…
১. মানসিক উদ্দীপনা বাড়ায়: ড্রিম থিয়েটারের প্রতিষ্ঠাতা জিগি জর্জ অনুভব করেন, যখন কোনও ব্যক্তি একটি বই পড়েন, তিনি যেহেতু সেটিকে চোখের সামনে ভিডিও কনটেন্ট-এর রূপে গড়ে উঠতে দেখেন না, তখন তাঁর মনের ভেতর নানা ধরনের কল্পনা তৈরি হয়।
এটি মনকে অনেকটা উন্মুক্ত করে। নানা গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিতভাবে বই পড়লে অ্যালঝাইমার্স বা ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি কমে আসে।
২. মানসিক অবসাদ দূর করে: বই আপনাকে বাস্তবতা থেকে বিচ্ছিন্ন করে ভিন্ন একটি জগতে নিয়ে যাবে। কর্মস্থলে খারাপ একটি দিন কাটানোর পর, বই আপনার জন্য আরামদায়ক হতে পারে।
অথবা আপনি যদি এমন কোনও ব্যক্তিগত ইস্যুতে টেনশনে থাকেন, তখনও বই আপনার জন্য বেশ স্বস্তিদায়ক হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন, নীরবে ছয় মিনিটের জন্য বই পড়লে আপনার হৃদ্কম্পনের গতি ধীর হয়ে আসবে এবং টেনশন দূর হবে।
৩. উন্নততর মনোযোগ তৈরি করে: আপনার সাধারণ একটি কর্মব্যস্ত দিন সম্পর্কে ভাবুন। এমন একটি দিনের বেশিরভাগ সময়ই আপনি কাজ সংশ্লিষ্ট ই-মেইল ঘাঁটাঘাঁটি করেন, সামাজিক গণমাধ্যম পেজগুলো চেক করেন, গৃহস্থালির টুকিটাকি কাজ এবং অন্যান্য কাজে ব্যস্ত থাকেন। এর ফলে আমাদের উৎপাদনশীলতা এবং একই সময়ে মাত্র একটি বিষয়ে মনোযোগদানের সক্ষমতা কমে আসে। আপনি যখন বই পড়ায় ডুবে যেতে পারবেন, বুঝবেন আসল পরিবর্তন কোথায় হচ্ছে! পরিস্থিতি নিশ্চিতভাবে বদলাবেই বদলাবে। আপনার চারপাশের ঘটনা সম্পর্কে ভুলে যাবেন এবং আপনার সব মনোযোগ একটি মাত্র গল্পে ঢেলে দিতে পারবেন।
৪. বই ভালো ঘুমের সহায়ক: আপনার বিছানায় যাওয়ার রুটিনে বই পড়ার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করুন। ঘুমোতে যাওয়ার আগে সর্বশেষ কাজ হিসেবে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ