নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংকগুলো দেউলিয়া হয়ে মূলধন সংকটে পড়েছে। ব্যাংকগুলো সরকারের কাছে ২০ হাজার কোটি টাকা মূলধন সহায়তা চেয়েছে। এ নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ফখরুল ইমাম।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে এক অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্টের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ব্যাংক তার মূলধন হারিয়ে ফেলেছে। এজন্য সরকারের কাছে ২০ হাজার কোটি টাকা মূলধন সহায়তা চেয়েছে। এটা আশ্চর্যজনক! সরকার কীভাবে এ টাকা দেবে। এটি তো জনগণের টাকা। সরকার কার টাকা কাকে দিচ্ছে?’
ফখরুল ইমাম বলেন, ‘গত পাঁচ বছরে সরকার ব্যাংকগুলোকে ১০ হাজার কোটি টাকার সহায়তা দিয়েছে। এবার ২০ হাজার কোটি টাকা চেয়েছে। এর মধ্যে কৃষি ব্যাংক সাড়ে ৭ হাজার কোটি, সোনালী ব্যাংক ৬ হাজার কোটি এবং বিভিন্ন ব্যাংক বিভিন্ন অঙ্কে টাকা চেয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘বেসিক ব্যাংককে ৪ হাজার কোটি টাকা লুট, ফারমার্স ব্যাংকের খবর নেই। বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮০০ কোটি টাকা চুরি হয়েছিল তার কোন কূলকিনারা নেই। আমরা শুনেছি রিপোর্ট হয়েছে। কিন্তু রিপোর্টের বিষয়বস্তু জানতে পারিনি। অপসোর ব্যাংকের কেলেঙ্কারি কথা জানি। এখন নতুন করে শুরু হয়েছে এজেন্ট ব্যাংক। কম খরচ করার জন্য এজেন্ট ব্যাংক করেছে। বিভিন্ন জায়গায় এজেন্ট ব্যাংকের শাখা ছড়িয়ে আছে। বিকাশের মাধ্যমে ব্যাংকের যে টাকা লেনদেন হয় সেখানেও অনিয়ম হয়। এজেন্ট ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ নেই। এজেন্ট ব্যাংক আগে শুধু টাকা জমা নিতো এখন টাকা উত্তোলনসহ অনেক কর্মকাণ্ড করছে, যা ভয়াবহ ব্যাপার। এসব নিয়ে মনিটরিং নেই সরকারের।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ