নিজস্ব প্রতিবেদক:
সুন্দরবন দিবস ২০১৮ পালন উপলক্ষ্যে সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটি ও বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)সহ ৫৭টি সদস্য সংগঠনের উদ্যোগে শাহবাগস্থ জাতীয় জাদুঘরের সামনে “সুন্দরবন বিষয়ক ইউনেস্কোর প্রস্তাব সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন কর, বন বিনাশী রামপাল কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র অবিলম্বে বাতিল কর, সুন্দরবনের জন্য ক্ষতিকর সকল কার্যক্রম বন্ধ কর, বন রক্ষায় উদ্যোগ নাও” দাবীতে এক নাগরিক সমাবেশ হয়েছে।
বিশিষ্ট লেখক-বুদ্ধিজীবি ও বাপা’র সহসভাপতি সৈয়দ আবুল মকসুদ এর সভাপতিত্বে সমাবেশে ঘোষনাপত্র পাঠ করেন সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব ও বাপা’র সাধারণ সম্পাদক ডাঃ মোঃ আব্দুল মতিন। সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, সুন্দরবনের ওপর যে অত্যাচার চলছে, তা খুবই দুঃখজনক। সুন্দরবন বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ। এটা কেবল বাংলাদেশের নয়, বিশ্ববাসীর সম্পদ, এর ক্ষতি করার কোন অধিকারই আমাদের নেই। বরং একে রক্ষা করা আমাদের জাতীয় কর্তব্য। সরকারের উচিত ছিল সুন্দরবনের ক্ষতি হয় এমন কার্যক্রম কেউ গ্রহন করলেও তাতে বাধা দেয়া। অথচ আমরা লক্ষ্য করছি, একে রক্ষা ও সংরক্ষণের পরিবর্তে সরকারী উদ্যোগে ও অনুমোদনে বন বিনাশী অনেক শিল্প কল-কারখানা গড়ে উঠাসহ রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের মত পরিবেশ বিনষ্টকারী প্রকল্প নির্মিত হচ্ছে সেখানে। আমরা আশংকা করছি, পরিবেশ ও বন বিনাশী কার্যক্রম বন্ধ না হলে অতি দ্রুতই সুন্দরবন বড় বিপর্যয়ের দারপান্তে চলে যাবে। তাই সুন্দরবন বিনাশী সকল কার্যক্রম ও পদক্ষেপ বাতিল করে একে রক্ষায় এগিয়ে আসার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান।
বাপা’র যুগ্মসম্পাদক জনাব আলমগীর কবির এর সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন সর্বজনাব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এম এম আকাশ ও উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল আজিজ, পাওয়ার সেল এর সাবেক মহাপরিচালক প্রকৌশলী বিডি রহমতুল্লাহ, বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবি এডভোকেট ড. মো: জিয়াউর রহমান, ডব্লিউবিবি ট্রাস্টের প্রোগ্রাম ম্যানেজার মারুফ হোসেন,গ্রীন ভয়সেরে সামাদ প্রধান, ঢাকা ইয়ুথ ক্লাব ইন্টারন্যাশনালের সাধারণ সম্পাদক সোহাগ মহাজন প্রমুখ। সমাবেশে সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস্ মুভমেন্ট এর নির্বাহী প্রধান এডভোকেট মোঃ মোজাহেদুল ইসলাম মুজাহিদ, বাপা’র জাতীয় পরিষদ সদস্য নাজিম উদ্দিন, গ্রীন ভয়েস এর আব্দুস সামাদ প্রধান ও আব্দুস সাত্তার-সহ আয়োজক সংগঠনসমূহের প্রতিনিধিগণ ছাড়াও অন্যান্য বিভিন্ন পরিবেশবাদী ও সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিগন অংশ গ্রহন করেন। সমাবেশ শেষে এক র্যালী অনুষ্ঠিত হয়।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ