২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | দুপুর ১:১২

গ্রাহক বেশি, সেবা খারাপ গ্রামীণফোনের

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি গ্রাহক গ্রামীণফোনের। তাদের যে স্পেকট্রাম তাতে প্রতি মেগাহার্টজ স্পেকট্রামে ২০ লাখ মানুষকে তারা সেবা দিয়ে থাকেন। অন্য অপারেটরগুলো প্রতি মেগাহার্টজ স্পেকট্রামে এর থেকে কম গ্রাহককে সেবা দেন। আর উন্নত দেশের চিত্র তো পুরোই ভিন্ন। মালয়েশিয়া ও জার্মানিতে প্রতি মেগাহার্টজ স্পেকট্রামে যে পরিমাণ গ্রাহককে সেবা দেওয়া হয় তার তুলনায় বাংলাদেশ ১৫ গুণ বেশি মোবাইল ব্যবহারকারীকে সেবা দেয় অপারেটররা। কম স্পেকট্রামে বেশি গ্রাহককে সেবা দেওয়ার কারণে গ্রামীণফোনের সার্ভিসের কোয়ালিটি সবচেয়ে খারাপ। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা ক্লাবে স্পেকট্রাম নিলাম অনুষ্ঠানের পর বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি হিসাব দিয়ে বলেন, প্রতি মেগাহার্টজে গ্রামীণফোন ২০ লাখ গ্রাহককে সেবা দেয়। বাংলালিংক ১৮ লাখ আর রবি ১১ লাখ। অপারেটরদের আরো বেশি স্পেকট্রাম কেনা উচিত ছিল বলেও মন্তব্য করেন তিনি। কম স্পেকট্রামে বেশি গ্রাহককে সেবা দিতে গেলে কোয়ালিটি ভালো হবে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি। তবে এখন এগুলো কঠোরভাবে দেখা হবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার নিজের উদাহরণ দিয়ে বলেন, বাসা থেকে অফিসে যেতে ৮ বার কল কেটে যায়। ইন্টারনেটের সংযোগ তো ঠিকভাবে পাওয়া যায় না। এখন স্পেকট্রাম দেওয়া হলো, প্রযুক্তি নিরপেক্ষতাও দেওয়া হয়েছে। ফলে আর কোনো অভিযোগ শোনা হবে না। সার্ভিস ভালো না হলে আমরা কঠোর হতে বাধ্য হবো। গ্রাহক সেবায় কাউকে ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এখন থেকে মনিটরিং করা হবে।
উন্নত মোবাইল সেবাদানের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ স্পেকট্রাম নতুন করে কিনলো মোবাইল অপারেটর কোম্পানি গ্রামীণফোন ও বাংলালিংক। গতকালের নিলাম অনুষ্ঠান থেকে স্পেকট্রাম বিক্রি ও টেক নিউট্রালিটি থেকে সরকারের আয় হয়েছে ৫ হাজার ২৬৮ কোটি টাকা। স্পেকট্রাম নিলাম অনুষ্ঠানে বাংলালিংক ১৮০০ মেগাহার্টজ ব্যান্ডে ৫.৬ ও ২১০০ মেগাহার্টজ ব্যান্ডে ৫ মেগাহার্টজ ব্যান্ড স্পেকট্রাম কেনে। এ ছাড়া গ্রামীণফোন ১৮০০ মেগাহার্টজ ব্যান্ডে শুধু ৫ মেগাহার্টজ ব্যান্ড স্পেকট্রাম কেনে। সবার ধারণা ছিল গ্রামীণফোন হয়ত আরো বেশি স্পেকট্রাম কিনবে। এখন প্রশ্ন উঠেছে মাত্র এই স্পেকট্রাম দিয়ে তারা এত গ্রাহককে কীভাবে ফোরজি সেবা দেবে। পর্যাপ্ত স্পেকট্রাম থাকায় নিলাম অনুষ্ঠানে অংশ নেয়নি মোবাইল অপারেটর টেলিটক ও রবি।
বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ বলেন, ‘আশা করছি মোবাইল ফোন অপারেটরদের কোয়ালিটি অব সার্ভিস ভালো হবে। সেবার মান বাংলাদেশে ভালো নয়।’  তিনি বলেন, ১৯ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিক ফোর জি লাইসেন্স ও স্পেকট্রাম ব্যবহারের অনুমতিপত্র অপারেটরগুলোর কাছে হস্তান্তর করবেন তারা। তিনি আশা প্রকাশ করেন ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে ফোরজিতে বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হবে।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি
প্রকাশ :ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৮ ৪:৪০ অপরাহ্ণ