নিজস্ব প্রতিবেদক:
মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে আঞ্চলিক মহাসড়কের দুই পাশের প্রায় ৪ হাজার গাছ কাটার ওপর স্থিতাবস্থা জারি করেছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি ওই গাছ কাটার সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং বিকল্প উপায়ে সড়ক নির্মাণ পরিকল্পনা গ্রহণের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না—জানতে চেয়ে রুলও জারি করা হয়েছে।
বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার রুলসহ এ আদেশ দেন।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব, পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, সড়ক ও জনপথের প্রধান প্রকৌশলী, মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক, সিঙ্গাইরের ইউএনও এবং সিঙ্গাইর থানার ওসিসহ সংশ্নিষ্টদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
‘কাটা হচ্ছে চার হাজার গাছ’ শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিকে সম্প্রতি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এতে বলা হয়, ঢাকার হেমায়েতপুর থেকে মানিকগঞ্জ পৌর এলাকার জরিনা কলেজ মোড় পর্যন্ত ৩১ কিলোমিটার আঞ্চলিক মহাসড়ক ১৭ ফুট চওড়া। এটি প্রশস্ত করে ২৪ ফুটে উন্নীত করা হবে। গাছ কাটা ছাড়া মহাসড়কটি সম্প্রসারণ করা সম্ভব নয়। এ জন্য জেলা পরিষদ গত বছরের ৬ নভেম্বর দরপত্র আহ্বান করে গাছ বিক্রি সম্পন্ন করেছে।
দরপত্র অনুযায়ী, ৩ হাজার ৭২৫টি গাছ ২৮টি গুচ্ছে বিক্রি করা হয়। সর্বোচ্চ ১ কোটি ৩৬ লাখ ১৪ হাজার ১৩৯ টাকায় গাছগুলো বিক্রি করা হয়।
পরে ওই প্রতিবেদন যুক্ত করে হাইকোর্টে জনস্বার্থে রিটটি করেন মানিকগঞ্জ আইনজীবী সমিতির সদস্য মনজুরুল ইসলাম।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ূয়া।
দৈনিক দেশজনতা /এন আর