আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
মিয়ানমারের দুটি সশস্ত্র জাতিগত গোষ্ঠী মঙ্গলবার এক অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে অস্ত্রবিরতিতে স্বাক্ষর করতে যাচ্ছে। সরকার আশা করছে এটা হবে শান্তি প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে একটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বিজয়। সমালোচকরা অবশ্য এই চুক্তিকে ‘ঠুনকো’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।
মিয়ানমারে পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যে রক্তাক্ত সেনা অভিযানে প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা মুসলিম প্রাণ বাঁচাতে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করলে সম্প্রতি মিয়ানমার বিশ্ববাসীর মনোযোগ আকর্ষণ করে। তবে এটা দেশটির গোলযোগপূর্ণ অঞ্চলগুলোতে বেশ কয়েকটি সংঘাতের মাত্র একটি অংশ। মিয়ানমারে বেশ কয়েকটি জাতিগত সংখ্যালঘু গোষ্ঠী স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে রাষ্ট্রের সঙ্গে কয়েক দশক ধরে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। পাঁচ দশকের সামরিক শাসনের অবসান ঘটিয়ে ২০১৬ সালে মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি’র বেসামরিক প্রশাসন ক্ষমতা গ্রহণ করার পর তিনি বলেছিলেন, দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা করাই তার প্রধান লক্ষ্য।
তবে তিনি তার প্রতিশ্রুতির সামান্যই রক্ষা করতে পেরেছেন। সীমান্ত এলাকাগুলোতে প্রায়ই মাদক সংক্রান্ত সহিংসতা দেখা দেয়। এতে হাজার হাজার লোক গৃহহীন হয়ে পড়েছে। মঙ্গলবার নাইপিদোতে নিউ মোন স্টেট পার্টি (এনএমএসপি) এবং লাহু ডেমোক্র্যাটিক ইউনিয়ন (এলডিইউ) ন্যাশনাল সিজফায়ার এগ্রিমেন্ট (এনসিএ) চুক্তিতে স্বাক্ষর করবে। এরপর সরকার একে একটি প্রতীকী বিজয় বলে আখ্যায়িত করতে পারে। এরা আরো আটটি মিলিশিয়া বাহিনীর সঙ্গে যুক্ত হবে। সু চি’র দায়িত্ব গ্রহণের আগে এরা এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিল। এই গোষ্ঠী দুটি সেনাবাহিনীর সঙ্গে কিছু দিনের জন্য সরাসরি সংঘাতে জড়িয়ে না পড়লেও শক্তিশালী বিদ্রোহী জোটের অংশ। ওই জোট সাবেক সেনা সমর্থিত সরকারের অধীনে এনসিএ চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। এএফপি।
দৈনিক দেশজনতা /এন আর