স্পোর্টস ডেস্ক:
করফাঁকির মামলায় আটকে গেলেন লিওনেল মেসি। এখন তাঁর হাজতবাসের সম্ভাবনা নিয়ে জল্পনা কল্পনা সৃষ্টি হয়েছে গণমাধ্যমগুলোতে। মেসিকে জেলে যেতে হচ্ছে এ চিন্তা করে -এ ফুটবল তারকার ভক্তদের মধ্যেও সৃষ্টি হয়েছে উদ্বিগ্নতা।
করফাঁকির মামলায় লিওনেল মেসি ও তাঁর বাবা জর্জকে ২১ মাসের কারদণ্ডের সাজা দিয়েছিল বার্সেলোনার আদালত। এ বছর ২০ এপ্রিল রিয়েল মাদ্রিদের বিরুদ্ধে এল ক্লাসিকোতে দূর্দান্ত নৈপুণ্য দেখানোর প্রাক্কালে আদালত এ রায় দেয়। এরপর সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে দেশের শীর্ষ আদালতে আপিল করেন মেসি। কিন্তু গতকাল আদালত সেই আপিল খারেজ করে দেন। ফলে বার্সেলোনা আদালতের কারাদণ্ডের নির্দেশ বহাল থাকল। ২১ মাস কারাদন্ডের সাথে আদালত মেসিকে ২০ লাখ ইউরো ও তাঁর বাবা জর্জকে ১৫ লাখ ইউরো জরিমানা করেছিল, তাও পরিশোধ করতে হবে পিতা-পুত্রকে।
আন্তর্জাতিক এ ফুটবল তারকার বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০০৭ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত প্রায় ৪৭ লাখ ইউরো কর ফাঁকি দিয়েছেন তিনি। ২০১৩ সালে সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা যায়, উরুগুয়েতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিপুল পরিমান অর্থ বিনিয়োগ করেন মেসি ও তাঁর বাবা। ধারণা করা হচ্ছে কর ফাঁকির অর্থ দিয়েই তারা এসব প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করেন। এরপরেই মেসি ও তাঁর বাবার বিরুদ্ধে এ নিয়ে তদন্ত শুরু হয়। তবে আশার কথা হচ্ছে স্পেনের আইনে শাস্তির সাজা ২ বছরের কম হলে হাজতবাস করতে হয় না দন্ডপ্রাপ্তদের। সেদিক দিয়ে এ সাজা ভোগ করতে কারাগারে যেতে হবে না আর্জেন্টিনার এ ফুটবলার ও তাঁর বাবাকে। তবে এ রায়ের কারণে মেসির ভাবমূর্তিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে মনে করছেন সমালোচকরা।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ