২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | দুপুর ১২:৫২

চীনের প্রভাব ঠেকাতে ভারতের সঙ্গে জোরালো সম্পর্ক চায় যুক্তরাষ্ট্র

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় অঞ্চলের বিভিন্ন সংকট নিয়ে আলোচনা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বৃহস্পতিবার দুই নেতার ফোনালাপে মালদ্বীপের রাজনৈতিক সংকট, আফগানিস্তান যুদ্ধ এবং নির্যাতনের মুখে মিয়ানমারের রাখাইন থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের দুঃখ-দুর্দশা গুরুত্ব পেয়েছে। কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এশিয়াজুড়ে দিনকে দিন চীনের প্রভাব বেড়ে চলেছে। এমন বাস্তবতায় এই অঞ্চলে ক্ষমতার ভারসাম্য বজায় রাখতে ভারতের সঙ্গে সামরিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদারে কাজ করছে ট্রাম্প প্রশাসন। খবর এনডিটিভি’র।
ফোনালাপের বিষয়ে হোয়াইট জানিয়েছে, বেশকিছু বৈশ্বিক ইস্যুতে দুই নেতা আলোচনা করেছেন। ইন্দো-প্যাসিফিক  অঞ্চলে নিরাপত্তা জোরদার ও সমৃদ্ধিতে একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন তারা। মালদ্বীপের বর্তমান রাজনৈতিক সংকটে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও নরেন্দ্র মোদী উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। দুই নেতা মালদ্বীপের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। ফোনালাপে দুই নেতা আফগানিস্তানের নিরাপত্তা ইস্যুতে তাদের অঙ্গীকারের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আফগানিস্তানে সহায়তার পরিমাণ বাড়িয়েছে ভারত। দুই নেতার আলোচনায় মিয়ানমার থেকে হত্যাযজ্ঞের মুখে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ৬ লাখ ৮০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গার দুর্দশার কথা উঠে আসে। তারা উত্তর কোরিয়া ইস্যু নিয়েও আলাপ করেন। বর্তমানে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক সীমিত করেছে ভারত। খাদ্য ও ওষুধের মতো গুরুত্বপূর্ণ জিনিস ছাড়া অন্য কিছু রপ্তানি করছে না দিল্লি।
মালদ্বীপের রাজনৈতিক অস্থিরতায় দেশটির বর্তমান সরকারের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রেখেছে চীন। দেশটি বলেছে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত মালদ্বীপের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গেং শুয়াং বলেন, মালদ্বীপের রাজনৈতিক সংকট নিরসনের পথ খুঁজতে ভারতের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছে চীন। এটা দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন ‘ফ্লাশপয়েন্ট’ হোক সেটা চায় না বেইজিং। বর্তমান পরিস্থিতি মালদ্বীপের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আলোচনার মাধ্যমে এর সমাধান হওয়া উচিত।  উল্লেখ্য, এক সময় মালদ্বীপের ওপর ভারতের ব্যাপক প্রভাব ছিল। কিন্তু এখন দেশটিতে চীনের প্রভাব বাড়ছে। বিশেষ করে চীনের ‘ওয়ান বেল্ট, ওয়ান রোড’ পরিকল্পনায় মালদ্বীপ স্বাক্ষর করার পর সেটা অনেকটাই স্পষ্ট হয়েছে।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি
প্রকাশ :ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৮ ১:২৬ অপরাহ্ণ