নিজস্ব প্রতিবেদক:
গাজীপুরের শ্রীপুরে টাকার জন্য বাবা-মাকে বেধড়ক মারধর করায় স্থানীয় জনতা চিত্রনায়ক মাহফুজুর রহমান যুবরাজ ও তার দুই সহযোগীকে ধরে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করছে।
সোমবার দুপুরে উপজেলার বরমী ইউনিয়নের মাইজপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। রাতে এ ঘটনায় যুবরাজের বাবা বাদী হয়ে ৬ জনের নামে মামলা করেন। মারধরের মামলায় পুলিশ যুবরাজ ও তার সহযোগী কিশোরগঞ্জ জেলার তারাইল থানা এলাকার হাইজুলের ছেলে হাবিবুর রহমান হাবিব ও শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে রতন মিয়াকে গ্রেফতার করেছে।
এ ব্যাপারে চিত্রনায়ক যুবরাজের বাবা আবদুর রহমান সাহীদ জানান, ‘আমার ছেলে বিভিন্ন সময় ব্যবসার কথা বলে আমাদের কাছ থেকে প্রায় ৮০ লাখ টাকা নিয়ে গেছে। সম্প্রতি আরো ৫০ লাখ টাকার দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। সোমবার দুপুরে টাকার জন্য যুবরাজ তার সহযোগীদের সহায়তায় বাড়িতে আমাকে ও তার মাকে মারধর করতে শুরু করলে এলাকাবাসী এগিয়ে এসে আমাদের উদ্ধার করে।’
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাবা-মাকে বেধড়ক মারধর করে যুবরাজ। এ সময় এলাকাবাসী এগিয়ে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে। এমন ন্যক্কারজনক ঘটনায় স্থানীয়রা উত্তেজিত হয়ে যুবরাজসহ তার দুই সহযোগীকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে বরমী ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যায়। পরে রাতে বরমী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শ্রীপুর থানা পুলিশের নিকট তাদেরকে সোপর্দ করে।
গ্রেফতারকৃত চিত্রনায়ক যুবরাজ সকল অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, তার অন্যান্য চাচাত ভাইদের কুপরামর্শের কারণে তার বাবা-মা তাকে ভাল চোখে দেখেন না। তিনি ১৬-১৭ টি চলচ্চিত্রে পার্শ্ব-নায়কের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। দুটি ছবিতে মূল নায়কের ভূমিকায় অভিনয় চলছে।
দৈনিক দেশজনতা/এন আর