কক্সবাজার প্রতিনিধি :
অনুপ্রবেশ করার সময় বঙ্গোপসাগরের টেকনাফ উপকূলে রোহিঙ্গাবোঝাই নৌকা উল্টে তিন শিশু মারা গেছে। এ সময় ৫১ জন রোহিঙ্গাকে জীবিত উদ্ধার করেছে স্থানীয় জেলেরা।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার দিকে সাবরাং খুরেরমুখসংলগ্ন সাগর উপকূলে নৌকাটি উল্টে যায়। এতে তিনটি শিশু নিখোঁজ হলে পরে একই এলাকা থেকে তাদের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ওই সময় নৌকায় থাকা আরও ৫১ জন রোহিঙ্গা শিশু, নারী ও পুরুষকে উদ্ধার করেছে স্থানীয় জেলেরা।
নিহত শিশুরা হলো- মিয়ানমার বুচি দং কুলপাতংয়ের মোহাম্মদ ইয়াছিনের চার মাস বয়সের শিশুকন্যা ওমর সালমা, আব্দুল আজিজের সাত মাস বয়সের মোহাম্মদ আয়ুব ও আব্দুল হাইয়ের সাত বছর বয়সের আব্দুল নবী।
জীবিত উদ্ধার রোহিঙ্গারা বলেন, মিয়ানমারের মংডু শহরের দংখালী বালুর চর থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসার জন্য বুধবার রাতে ৫৪ জন রোহিঙ্গা শিশু, নারী ও পুরুষ মিলে একটি ইঞ্জিনচালিত মাছ ধরার নৌকায় উঠি। নাফ নদ দিয়ে টেকনাফে ঢুকতে না পেরে সাগরপথ পাড়ি দিয়ে নৌকাটি টেকনাফের পশ্চিমে তীরের কাছাকাছি এসে পৌঁছালে ঢেউয়ের কবলে পড়ে উল্টে যায়। দুর্ঘটনার পর চিৎকার শুনে কূলে থাকা স্থানীয় জেলেরা এগিয়ে এসে অনেককে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। ওই সময় তিনটি শিশু নিখোঁজ ছিল। পরে একই এলাকায় তাদের লাশ ভেসে আসে।
উদ্ধার কাজে জড়িত কয়েকজন জেলে বলেন, উখিয়ার একটি নৌকা টাকার লোভে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে এনেছিল। ঢেউয়ের কবলে পড়ে নৌকাটি উল্টে গেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে তিনটি শিশু মারা গেলেও আরও ৫১ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
টেকনাফ থানার ওসি মো. মাইন উদ্দিন খান বলেন, উপকূলের কাছাকাছি একটি নৌকা উল্টে তিন রোহিঙ্গা শিশুর মৃত্যু হয়েছে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশের একটি বিশেষ দল ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। পরে আরও ৫১ জন রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করার পরে মানবিক সহায়তা দেওয়া হয়। ভেসে আসা তিন শিশুর লাশ স্থানীয় জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে দাফন করা হয়েছে।
দৈনিক দেশজনতা /এন আর