২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ৩:০৯

জামালপুরে এসএসসির প্রশ্ন ফাঁস : ৩ জন রিমান্ডে

জামালপুর প্রতিবেদক:

জামালপুরে এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসকারী চক্রের সাথে জড়িত এসএসসি পরীক্ষার্থী এহসানুল হক শান্ত (১৬), ইশতিয়াক মাহমুদ নিলয় (১৫) ও মোবারক আকন্দকে (১৬) চার দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার দেওয়ানগঞ্জ আমলি আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নাজমুল হক এ আদেশ দিয়েছেন।

এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে গ্রেফতারকৃত ১০ এসএসসি পরীক্ষার্থীকে আদালতে সোপর্দ করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন ওই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দেওয়ানগঞ্জ থানার এসআই রাজিব চন্দ্র সরকার।

এদিকে প্রশ্ন ফাঁস প্রসঙ্গে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে সংবাদ সম্মেলন হয়েছে। গ্রেফতার পরীক্ষার্থীরা শিশু-কিশোর হওয়ায় এতে আইনের বাধ্যবাধকতা থাকায় এবং তদন্তের স্বার্থে পুলিশ সুপার ওই পরীক্ষার্থীদের সাথে কথা বলার সুযোগ দেননি।

তবে গ্রেফতারকৃত পরীক্ষার্থীদের স্বীকারোক্তির আলোকে পুলিশ সুপার দেলোয়ার হোসেন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতেই তাদেরকে আটক করে খ সেটের ইংরেজি দ্বিতীয়পত্র প্রশ্নের সাথে হুবহু মিলে যাওয়ায় আমরা নিশ্চিত হই যে প্রশ্ন ফাঁস করা হয়েছে।

তাদের কাছ থেকে জানা যায় যে, ইতিপূর্বেও তারা তিনটি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস করেছে। ঢাকা থেকে ফেসবুকে তাদের একটি কমন আইডিতে প্রশ্ন সরবরাহ করা হয়ে থাকে। সেই আইডির মাধ্যমেই তারা দেওয়ানগঞ্জে প্রশ্ন ফাঁস করেছে।

তারা স্বীকার করেছে যে, প্রশ্নগুলো কোথা থেকে কারা তাদেরকে দিয়েছে। তাদের পরিচয়ও নিশ্চিত হওয়া গেছে। তদন্তের স্বার্থে আপাতত গোপন রাখা হচ্ছে। আশা করি এই প্রশ্ন ফাঁসের সাথে যুক্ত সংঘবদ্ধ চক্রটির মূলহোতা ও জড়িত অন্যান্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, আটক পরীক্ষার্থীরা শিশু-কিশোর হওয়ায় আইন মেনেই তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, জেলা পুলিশের একটি দল বুধবার ইংরেজি দ্বিতীয়পত্র পরীক্ষা শুরু হওয়ার আধাঘন্টা আগে জেলার দেওয়ানগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে তারেকুল ইসলাম নামের এক পরীক্ষার্থীকে মুঠোফোন সেটসহ আটক করে। সকাল ১০টায় শুরু হওয়া ইংরেজি দ্বিতীয়পত্রের খ-সেটের প্রশ্নের সাথে তার ফোন সেটে সংরক্ষিত প্রশ্নের হুবহু মিল পাওয়া যায়। পরে তার স্বীকারুক্তি অনুযায়ী তাৎক্ষণিক ওই কেন্দ্রের আরও ৯ জন পরীক্ষার্থীকে আটক করা হয়। তাদের ফোন সেটেও ওই প্রশ্নের হুবহু প্রশ্ন পাওয়া যায়।

তাদের বিরুদ্ধে ১৯৮০ সালের পাবলিক পরীক্ষা (অপরাধ) আইনের ৪(খ)১৩ ধারায় পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস ও প্রকাশের সহায়তা করার অপরাধের অভিযোগে বুধবার রাতে দেওয়ানগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। মামলাটি বাদী হয়েছেন দেওয়ানগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব রায়হানা আক্তার বেগম।

দৈনিক দেশজনতা /এন আর

প্রকাশ :ফেব্রুয়ারি ৮, ২০১৮ ৭:০৭ অপরাহ্ণ