আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
বন্যা শেষ না হতেই শুরু হলো ভারী তুষারপাত। যেদিকে চোখ যায় শুধু বরফ আর বরফ। প্রতিটি স্থানে জমে থাকা বরফের স্তুপ দূর থেকে দেখলে বরফের পাহাড় বা সমুদ্র বলে মনে হয়। পুরো ফ্রান্সের চিত্র এটি। গত দুদিনে টানা তুষারপাতে যা অঙ্কিত হয়েছ। আর এতে রেকর্ড ভঙ্গ হয়েছে বিগত ৩০ বছরের।
জানা গেছে, ১৯৮৮ সালে সর্বশেষ এমন তুষারপাতের ঘটনা ঘটে। ২০১২ সালে ফ্রান্স জুড়ে বেশ তুষারপাত হলেও এবারের ঘটনা সবকিছুকে হার মানিয়েছে।
বিভিন্ন স্থানে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক না থাকায় জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। রাজধানী প্যারিসে যান চলাচল কিছুটা স্বাভাবিক থাকলেও এর আশপাশের এলাকার মানুষের দুর্ভোগ চরমে। প্রচণ্ড ঠান্ডা ও জমে থাকা বরফের মধ্যদিয়ে কর্মস্থল থেকে ঘরে ফেরা বহু মানুষকে পায়ে হেঁটে ফিরতে দেখা গেছে।
আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, তাপমাত্রা মাইনাস থাকায় জমে থাকা বরফ সরতে বেশ কিছুটা সময় লাগবে। ফ্রান্স আবহাওয়া দপ্তর সড়ক ব্যবস্থায় সারাদেশে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে।
আবহাওয়া দুর্যোগের কারণে ট্রাফিক ব্যবস্থা দুরুহ হয়ে পড়ে এবং বৃষ্টির পর রাতে তুষারপাত হওয়ায় আগামী শুক্রবার পর্যন্ত একই ধরনের আশংকা দেখা দিয়েছে। আবহাওয়াবিদরা সতর্ক করে দিয়ে বলেছে তুষারপাতের কারণে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট) কম হতে পারে। শিশু কিশোরদের নিরাপদে থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। রেল অপারেটর এসএনসিএফ তার উচ্চগতির টিজিভি লাইনের কয়েকটি ট্রেনকে ধীরগতির করে ফেলেছে, যার ফলে উত্তর ফ্রান্সের বেশিরভাগ এলাকাজুড়ে যাত্রীসেবা বিঘ্নিত হয়েছে। হাজার হাজার জরুরি বাসস্থানের জায়গা আশ্রয়হীন গৃহহীনদের জন্য খোলা হয়েছে, দেশের আঞ্চলিক সংহতি মন্ত্রণালয় থেকে।
প্যারিস অঞ্চলে ভারী যানবাহনগুলোর জন্য ট্যাফিক নিষিদ্ধ করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদেরও রাস্তার ভ্রমণগুলো সীমাবদ্ধ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। গুরুতর আবহাওয়ার কারণে আইফেল টাওয়ারকে বন্ধ করা হয়েছে যদিও দর্শকরা দূর থেকে তুষার-আচ্ছাদিত টাওয়ারের ছবি তোলার জন্য আনন্দিত হয়েছেন।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ