বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক:
আজ থেকে ১৩ বছর আগে পড়াশোনা শেষ না করেই হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়েছিলেন ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গ। অবশ্য পড়াশোনায় অনিহার জন্য নয়, নিজের তৈরি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটিকে আরও সমৃদ্ধ করতে সেবার কঠিন সিদ্ধান্তটি তার নিতেই হয়েছিল।
এক যুগেরও বেশি সময় পর সেই বিশ্ববিদ্যালয়ে আবার গিয়েছেন জুকারবার্গ। অবশ্য ফের পড়াশোনা শুরু করার জন্য নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে অংশ নিতে স্মৃতিময় হাভার্ডে গেছেন তিনি। আর সেই স্মৃতি রোমন্থনে ১৩ বছর আগে মার্ক যে কক্ষে বাস করতেন, সেখানে যান।
সেই রুমে বসেই তিনি ফেসবুকের মতো শক্তিশালী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটির উদ্ভাবন করেন। আবার নিজের জীবনসঙ্গীর সঙ্গে পরিচয়ও এই বিশ্ববিদ্যালয়েই। তাই সেসব স্মৃতি ফেসবুক অনুসারীদের সঙ্গে শেয়ার করতে মঙ্গলবার বিশেষ লাইভে হাজির হন জুকারবার্গ। ২৩ মিনিটের ভিডিওটি সেই কক্ষেই করেন যেখানে ছাত্রাবস্থায় বাস করতেন জুকারবার্গ।
লাইভ ভিডিও’তে ছাত্রজীবনের নানা স্মৃতি তুলে ধরেন ৩৩ বছর বয়সী ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী প্রিসিলা চান। লাইভে মার্ক বলেন, ’১৩ বছর বাদে এই প্রথম আমি এখানে ফিরে এসেছি। যেখান থেকে আমার জীবনে বিশেষ ঘটনাগুলো ঘটে। আমি সত্যিই কৃতজ্ঞ।’ মাত্র ৬ ঘণ্টায় ভিডিওটি প্রায় ৪০ লাখ ব্যবহারকারী দেখে ফেলেন। মন্তব্য করেন প্রায় ৫ লাখ মানুষ।
২০০৪ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি দি ফেসবুক (The facebook) নামে যাত্রা শুরু করে জুকারবার্গের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটি। হার্ভার্ডের সেই কক্ষেই একটি সাধারণ ল্যাপটপে বসে এটিকে তৈরি করেছিলেন। তখন হয়তো মার্ক নিজেও জানতেন না, সেদিনের সেই ছোট্ট বীজ একদিন মহীরুহে পরিণত হবে।
ছাত্রাবস্থায় সামাজিক ফেসবুককে নিয়ে তিনি এতটাই ব্যস্ত হয়ে পড়েন যে কিছুদিন বাদেই অর্থাৎ ২০০৬ সালে পড়ার পাঠ চুকানোর সময় ঘনিয়ে এলেও তা পারেননি মার্ক। ফেসবুককে আরও বড় করে গড়ে তুলতে বেরিয়ে পড়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। ফলে বিশ্বের সবচেয়ে পরিচিত ব্যক্তিটির আর ডিগ্রি অর্জন করা সম্ভব হয়নি।
পড়াশোনা ছেড়ে দেয়ায় সেবার খুব কষ্ট পেয়েছিলেন মার্ক জুকারবার্গের অভিভাবকেরা। ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতার নিজেরও আক্ষেপ ছিল। তবে ১৩ বছর বাদে সেই আক্ষেপ ঘুচতে চলেছে তার। আগামী বৃহস্পতিবার সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে তাকে সম্মান সূচক ডিগ্রি দেয়া হবে। শুধু কি তাই? সেই অনুষ্ঠানে বিশেষ বক্তব্যও দেবেন ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ