নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পর্যটন শিল্পকে অর্থনৈতিক খাত হিসেবে বিবেচনা করে এ শিল্পের প্রসার ঘটানোর জন্য অামরা বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। তিনি বলেন, পর্যটন অনেক বড় একটি ক্ষেত্র যেখানে ওআইসিভুক্ত দেশগুলোর একসঙ্গে কাজ করার সুযোগ রয়েছে।
মঙ্গলবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে ওআইসিভুক্ত মুসলিম দেশগুলোর পর্যটনমন্ত্রীদের সম্মেলনের (আইসিটিএম) আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, সম্প্রতি বাংলাদেশে উদ্বাস্তু সমস্যা বড় সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে। মিয়ানমার থেকে অত্যাচার নির্যাতনে বিতাড়িত হয়ে লাখ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অবস্থন নিয়েছে।
তিনি বলেন, অামরা শুধু মানবিক দিক বিবেচনা করে তাদের সাময়িকভাবে অাশ্রয় দিয়েছি। কিন্তু এ সমস্যা মিয়ানমারের। এটা তাদেরই সমাধান করতে হবে।
রোহিঙ্গাদের জন্য যারা সহযোগিতা করেছেন তাদের ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, বিভিন্ন মুসলিম দেশের সঙ্গে ভাতৃত্ব স্থাপন, ন্যায়বিচার ও একাগ্রতা স্থাপন করে বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে।
সম্মেলনে উপস্থিত বিদেশি অতিথিদের প্রতি অাহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশে দেখার মতো অনেক কিছই অাছে। অামাদের অাছে কক্সবাজার, কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত, অাছে সুন্দরবন, রয়েল বেঙ্গল টাইগার, সিলেটের চা বাগান, চট্র্রগ্রামের পাহাড় পর্বতসহ অনেক কিছু। অাপনারা ঢাকায় এসেছেন এসব উপভোগ করবেন। অাপনাদের যেন কোনো অসুবিধা না হয় সেজন্য সব ব্যবস্থা করা অাছে।
শেখ হাসিনা বলেন, পর্যটকরা এ দেশে এসে যেন ভালোভাবে যাতায়াত করতে পার সেজন্য পদ্মা সেতুসহ বিভিন্ন নদ-নদীর ওপর সেতু নির্মাণ, রাস্তাঘাট নির্মাণ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু পর্যটনের গুরুত্ব বুঝতে পেরেছিলেন বলে ১৯৭২ সালে পর্যটন করপোরেশন স্থাপন করে গেছেন।
আইসিটিএম’র ১০ম সম্মেলনের নতুন চেয়ারম্যান বেসরকারি বিমান চলাচল ও পর্যটনমন্ত্রী এ কে এম শাহজাহান কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার অালম ও ফারুক খান এমপি। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বেসরকারি বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব গোলাম ফারুক।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। এতে বাংলাদেশে স্থাপিত ইসলামিক নিদর্শন নিয়ে একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ