নিজস্ব প্রতিবেদক:
আগামী ৫ থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে মুসলিম দেশগুলোর পর্যটন মন্ত্রীদের সম্মেলন (ইসলামিক কনফারেন্স অব টুরিজম মিনিস্টার্স) অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনে ২৫টি দেশ অংগ্রহণ করবে। এরমধ্যে ১৫টি দেশের পর্যটন মন্ত্রী অংশ নেবেন। রবিবার সচিবালয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী এ কে এম শাহজাহান কামাল এসব তথ্য জানান।
মন্ত্রী বলেন, ওআইসির সদস্য দেশ ৫৭টি। প্রতি দুই বছর অন্তর ওআইসিভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে পর্যটন বিষয়ক পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ানো এবং বিশ্বে পর্যটন শিল্পের বিকাশের লক্ষ্যে মুসলিম দেশগুলো একসঙ্গে কাজ করার প্রত্যয়ে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। অংশগ্রহণকারী মন্ত্রী ও উচ্চ পর্যায়ের সরকারি ও বেসরকারি পর্যটন বিষয়ক কর্মকর্তারা কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করবেন। দশম সম্মেলন বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর আগে ২০১৫ সালে নাইজারে নবম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
মন্ত্রী বলেন, ৫ ফেব্রুয়ারি সম্মেলনের প্রাথমিক কার্যক্রমসহ উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সভা অনুষ্ঠিত হবে। ৬ ফেব্রুয়ারি সম্মেলনটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনসহ পর্যটন মন্ত্রীদের সভা অনুষ্ঠিত হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। ৭ ফেব্রুয়ারি অতিথিদের জন্য একটি বিশেষ ভ্রমণের আয়োজন করা হবে। এই সম্মেলনে মুসলিম দেশগুলোর পর্যটন মন্ত্রীদের ১১তম সম্মেলনের ভেন্যু নির্ধারিত হবে বলেও মন্ত্রী আশা করেন।
শাহজাহান কামাল বলেন, আমরা আশা করি এ সম্মেলন ওআইসিভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে পর্যটন শিল্পের বিকাশ ও প্রসারে একটি অভিন্ন প্লাটফর্ম তৈরিতে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে। সদস্য দেশগুলোর মধ্যে তথ্য বিনিময়, অভিজ্ঞতা শেয়ারিং ও সহযোগিতার মাধ্যমে পর্যটনের ক্ষেত্রে নতুন ভাবনা ও পদক্ষেপের সুযোগ সৃষ্টি করবে। গণমাধ্যমে ইসলামি কৃষ্টি ও ঐতিহ্যের ব্যাপক প্রচারের মাধ্যমে এর প্রতি পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ হবে।
মন্ত্রী বলেন, পর্যটনকে হাতিয়ার করে বিনিয়োগ ও বাণিজ্যের প্রসার ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে নতুন কর্মকৌশন গ্রহণে এ সম্মেলন থেকে দিকনির্দেশনা পাওয়া যাবে। সর্বোপরি পর্যটন খাতকে আরও শক্তিশালী করতে এ সম্মেলন ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে আমি আশাবাদী। সম্মেলনে পর্যটন খাতে সদস্য দেশগুলোতে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করতে ঢাকায় ওআইসি’র একটি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট স্থাপনের ঘোষণা আসবে বলেও আশা প্রকাশ করেন মন্ত্রী।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ