স্বাস্থ্য ডেস্ক:
রক্তস্বল্পতার কারণে শুরুর দিকে হতো আপনি কোনো সমস্যায় পরবেন না। অথবা আপনার দেহের তেমন কোনো ক্ষতি হবে না। তবে সমস্যা হচ্ছে, রক্তস্বল্পতার জন্য যে সকল রোগের উৎপত্তি ঘটে তা খুবই মারাত্মক। এছাড়াও রক্তস্বল্পতার রোগীদের থ্যালাসেমিয়ার বাহক ধরা হয়। তাই রক্তস্বল্পতাকে অবহেলা করা উচিত নয় মোটেই। বরং যতো দ্রুত সম্ভব এই সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণে আনা প্রয়োজন। নয়তো আপনি বুঝার আগেই হয়তো আপনার কোনো মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যাবে যেটা আপনি হয়তো পরে আর সামাল দিতে পারবেবন না। তাই খুব সহজেই রক্তস্বল্পতা পূরণ করবে এমন কিছু খাবারের নাম জেনে নিন।
লাল মাংস: রক্তস্বল্পতার রোগীদের জন্য আল মাংস খুবই উপকারী একটি খাবার। প্রচুর পরিমাণে আয়রনে ভরপুর লাল মাংস রক্তস্বল্পতা দূর করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এবং সেই সাথে ত্বক ও মাংসপেশির সুরক্ষা করে।
চীনাবাদাম: ঘরে এনে চীনাবাদাম নিয়মিত খেতে দেখা যায় না তেমন কাউকেই। কিন্তু যদি আপনি রক্তস্বল্পতার হাত থেকে মুক্তি চান তাহলে প্রতিদিন চীনাবাদাম খান। চীনাবাদামের আয়রন আপনাকে রক্তস্বল্পতা থেকে দূরে রাখবে।
ডিম: দিনে মাত্র একটি ডিম খাওয়ার অভ্যাস চিরকাল আয়রনের অভাব থেকে আপনাকে দূরে রাখবে। ডিমের মতো সহজলভ্য খাবার রাখুন প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায়।
টমেটো: টমেটো খুবই সহজলভ্য একটি খাবার যা খুবই কার্যকরী রক্তস্বল্পতা দূর করতে। টমেটোর আয়রন, ভিটামিন সি এবং লাইকোপেন রক্তস্বল্পতা সহ নানা রোগের হাত থেকে আমাদের বাঁচায়। তাই খাদ্যতালিকায় যোগ করুন এই খাবারটিও।
মধু: মধু এমনিতে খাওয়া হয়ে উঠে না। কিন্তু মধু খুবই কার্যকরী রক্তস্বল্পতা দূর করতে। চিনির পরিবর্তে নানা খাবারে যোগ করতে পারেন মধু। এতে চিনির ক্ষতিকর প্রভাব থেকেও বাচবেন এবং রক্তস্বল্পতাও দূর হবে।
খেজুর: আমাদের দেশে এমন মানুষ খুবই কম রয়েছেন যারা রমজান মাস ছাড়া খেজুর খান। কিন্তু খেজুরের পুষ্টিগুণ অতুলনীয়। খেজুরে রয়েছে ভরপুর আয়রন। রক্তস্বল্পতা দূর করতে খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন খেজুর।
পালং শাক: পালং শাকে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এ, বি৯, ই, সি, বিটা কারটিন এবং আয়রন রয়েছে। যা রক্ত তৈরি করে থাকে। আধা কাপ পালং শাক সিদ্ধতে ৩.২ মিলিগ্রাম আয়রন আছে যা মহিলাদের দেহে ২০% আয়রন পূরণ করে থাকে।
বিট: বিট আয়রন সমৃদ্ধ খাবার হওয়া খুব অল্প সময়ের মধ্যে এটি রক্ত স্বল্পতা দূর করে দেয়। এটি লোহিত রক্তকণিকা বৃদ্ধি করে। এবং দেহে অক্সিজেন সরবারহ সচল রাখে।
ডালিম:
এতে প্রচুর পরিমাণ আয়রন এবং ভিটামিন সি রয়েছে। এটি দেহে রক্ত প্রবাহ সচল রেখে দুর্বলতা, ক্লান্ত ভাব দূর করে। নিয়মিত ডালিম খেলে রক্তস্বল্পতা দূর হয়ে যায়। প্রতিদিনের নাস্তায় এক গ্লাস ডালিমের রস খাওয়া খুবই উপকার।
সামুদ্রিক মাছ: মাছের মাঝে, ভালো আয়রনের উৎস হল সামুদ্রিক মাছ। শিং মাছ, ইলিশ মাছ, ভেটকি মাছ, টেংরা মাছ ইত্যাদি সব মাছেই প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় সর্বনিম্ন ৬০ গ্রাম মাছ রাখলে রক্তস্বল্পতা রোগ থেকে দেহকে মুক্ত রাখা যাবে।
আয়রণ জাতীয় খাবার: রক্তশূন্যতায় ভুগছেন এমন কোন ব্যক্তির এই সমস্যা হওয়ার প্রথম কারণ হল তার দেহে আয়রণের অভাব। তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় আয়রণ যুক্ত খাবার রাখুন কিংবা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী আয়রণ পিল খেতে পারেন।.
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ