২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সকাল ৭:৩১

৯ বছরে ১২ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে: মির্জা ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, পত্রপত্রিকা ও আমাদের কাছে থাকা তথ্য অনুযায়ী গত ৯ বছরে ১২ হাজার ৮৫০ জনের বেশি নেতা-কর্মী রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন । আজ শনিবার রাজধানীর লা মেরিডিয়ান হোটেলে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাহী কমিটির সভায় সাংগঠনিক প্রতিবেদনে এ তথ্য দিয়েছেন ফখরুল।
তিনি বলেন, ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলমসহ অসংখ্য নেতাকর্মীদের গুম করা হয়েছে। দেশি-বিদেশি বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন প্রণীত প্রতিবেদনেও বাংলাদেশে বিরাজমান মানবাধিকার পরিস্থিতির উদ্বেগজনক চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা দানবীয় সরকারের মারমুখী আক্রমণের কিরুদ্ধে অব্যাহতভাবে লড়াই করে টিকে আছি। পরাজয়ের ভয়ে ভিত আওয়ামী লীগ। তাই তারা উন্মাদের মত হত্যা-লুণ্ঠন আর ধ্বংসলীলায় মেতে উঠেছে। সময় হয়েছে জনরোষের কবলে পড়ে আওয়ামী ক্ষমতার মসনদ ছারখার হয়ে যাবার।
তিনি বলেন, আমাদের সামনে আজ সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করা।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, বর্তমান এই স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট সরকারের একদলীয় শাসন ব্যবস্থা বাকশাল প্রতিষ্ঠার ভয়াবহ নস্যাৎ করতে হবে। দুর্বার গণআন্দোলনের মাধ্যমে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে সরকারকে বাধ্য করতে হবে।
আর আন্দোলনের মধ্য দিয়েই সরকারকে গণদাবি মেনে নিতে বাধ্য করতে হবে।
তিনি বলেন, দেশনেত্রী খালেদা জিয়া জনগণকে সঙ্গে নিয়ে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষায় শেষ দিন পর্যন্ত লড়ে যেতে চান। প্রতিষ্ঠা করতে চান শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্বপ্নের সুখী-সমৃদ্ধ গণতান্ত্রিক স্বাধীন বাংলাদেশ। দেশ ও জাতির বৃহত্তর কল্যাণে সেই লড়াইয়ে আমরাও যার যার অবস্থান থেকে শামিল হই। বিজয় আমাদের সুনিশ্চিত।
মির্জা ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা হলে তখন আমরা চুপ করে বসে থাকতে পারি না। আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে, প্রতিবাদ করতে হবে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে লড়াই করতে হবে।

দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ

প্রকাশ :ফেব্রুয়ারি ৩, ২০১৮ ২:৪২ অপরাহ্ণ