নিজস্ব প্রতিবেদক:
সরকারের নির্দেশনায় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীদের তালিকা তৈরি করছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে তালিকাটি প্রণয়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির মহাপরিচালক মোহাম্মদ জামাল উদ্দীন আহমেদ। শুক্রবার অধিদফতরের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা জানান।
মহাপরিচালক বলেন, ‘সময়ে সময়ে মাদক ব্যবসায়ীদের তালিকা পরিবর্তন হয়। কেউ ব্যবসা ধরে, আবার ছাড়ে। আমাদের একটি সীমাবদ্ধতার কথা উল্লেখ করতে চাই। আমরা যদি কারও কাছে মাদক না পাই তাহলে তাকে গ্রেফতার করতে পারি না। গডফাদারকে আমি হয়তো চিনতে পারছি, কিন্তু তার কাছে মাদক না পাওয়া পর্যন্ত গ্রেফতার করা সম্ভব হয় না।’
উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ‘অবৈধ লেনদেনের জন্য হয়তো মানি লন্ডারিং আইনে ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারবে, অবৈধ সম্পত্তি অর্জনের জন্য দুদক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে। সবগুলো সংস্থা মিলে সমন্বিতভাবে কাজ করলে মাদক নির্মূলে সফলতা আসবে।’
বর্তমানে দেশে মাদকের আগ্রাসন বেড়েছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে জামাল উদ্দীন বলেন, ‘মাদকের আগ্রাসন আগের তুলনায় বেড়েছে। কেন জানি মাদক ব্যবহারের ক্ষেত্রে আমাদের দেশের তরুণরা অতিমাত্রায় আগ্রহী হয়ে উঠছে। তবে আমাদের পক্ষ থেকে মামলা ও আসামি গ্রেফতারের সংখ্যা বেড়েছে।’
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের বর্তমান জনবল দিয়ে এককভাবে মাদক নির্মূল করা সম্ভব নয় উল্লেখ করেন সংস্থাটির প্রধান। জনবল ঘাটতির কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের এক হাজার ৭০৬ জনের জনবল কাঠামো রয়েছে। এখন কাজ করছে এক হাজার ১৯১ জন। তার মধ্যে ২৩৬ জন আউট সোর্সিংয়ের মাধ্যমে কাজ করছে। তারা অপারেশনাল নয়। অপারেশনাল কাজ করে এমন সংখ্যা খুবই কম। আট হাজার ৫০৫ জনের একটি কাঠামো সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। এটা পেলে জেলা পর্যায়েও সক্ষমতা বাড়বে।’
দৈনিক দেশজনতা /এন আর