২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সকাল ১১:২৯

বিশ্বজিৎ দাস হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ডেথ রেফারেন্স

নিজস্ব প্রতিবেদক :

বহুল আলোচিত দর্জি দোকানি বিশ্বজিৎ দাস হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়েছে।
মঙ্গলবার বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শুরু হয়। পরবর্তী শুনানির জন্য আগামীকাল বুধবার ধার্য করেন আদালত।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নজিবুর রহমান।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জি এম রাশেদুজ্জামান শাওনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শাহ আলম।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নজিবুর রহমান  বলেন, ‘গত ১৬ মে বিশ্বজিৎ দাস হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানি শুরু হয়। এরপর ১৭, ১৮ ও আজ ২৩ মে ধারাবাহিকভাবে শুনানি করে আমরা আসামিদের বিরুদ্ধে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করেছি। শুনানিতে আমরা আসামিদের সাজা বহাল চেয়েছি’।
এর আগে  গত ২৬ ফেব্রুয়ারি বিশ্বজিৎ দাস হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের করা আপিল অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শুনানির জন্য বেঞ্চ নির্ধারণ করে দেন প্রধান বিচারপতি।
গত ১৯ ফেব্রুয়ারি বিশ্বজিৎ দাস হত্যা মামলার  ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের করা আপিল শুনানির জন্য পেপারবুক প্রস্তুত হয়।
২০১৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর বহুল আলোচিত  দর্জি দোকানী বিশ্বজিৎ দাস হত্যা মামলায় ৮ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ১৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত।
ঢাকার চার নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এবিএম নিজামুল হক এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ের এক সপ্তাহের মধ্যে বিশ্বজিৎ হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। পাশাপাশি নিম্ন আদালতের মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল করেন আসামিরা।
মৃতুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- রফিকুল ইসলাম শাকিল, মাহফুজুর রহমান নাহিদ, এমদাদুল হক এমদাদ, জি এম রাশেদুজ্জামান শাওন, সাইফুল ইসলাম, কাইয়ুম মিঞা টিপু, রাজন তালুকদার এবং মীর মো. নূরে আলম লিমন।
এ ছাড়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্তরা হলেন- এএইচএম কিবরিয়া, ইউনুস আলী, তারিক বিন জোহর তমাল, গোলাম মোস্তফা, আলাউদ্দিন, ওবায়দুর কাদের তাহসিন, ইমরান হোসেন, আজিজুর রহমান, আল-আমিন, রফিকুল ইসলাম, মনিরুল হক পাভেল, মোশাররফ হোসেন ও কামরুল হাসান। এ ছাড়া তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড করা হয়।
বিশ্বজিৎ দাস হত্যা মামলায় ২০১৩ সালের ৫ মার্চ ছাত্রলীগের ২১ কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এই ২১ আসামির মধ্যে ৮ জন কারাগারে এবং বাকিরা পলাতক রয়েছেন।
২০১২ সালের  ৯ ডিসেম্বর ১৮ দলের অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে রাজধানীর পুরান ঢাকার ভিক্টোরিয়া পার্কের সামনে খুন হন বিশ্বজিৎ দাস।
শাখারীবাজারে বিশ্বজিতের দর্জি দোকান ছিল। তিনি থাকতেন লক্ষ্মীবাজার। গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুর।

দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ

প্রকাশ :মে ২৪, ২০১৭ ১০:৪৫ পূর্বাহ্ণ