নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র পদে উপনির্বাচন ও সম্প্রসারিত অংশের কাউন্সিলর নির্বাচন স্থগিত করে হাইকোর্টের দেয়া রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী তৌহিদুল ইসলাম এ তথ্য জানান। হাইকোর্ট গত ১৭ জানুয়ারি ওই আদেশ দেন।
নির্বাচনের জন্য ঘোষিত তফসিল কেন ‘আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত’ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত। বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর আহমেদ সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এর আগে ডিএনসিসি মেয়রের শূন্য পদে উপনির্বাচনের ঘোষিত তফসিল স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে পৃথক দুটি রিট দায়ের করেন রাজধানী উত্তরের বেরাইত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম ও ভাটারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান।
আইনজীবীরা বলেন, ৯ জানুয়ারির ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ১৮ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র দাখিল করার কথা ছিল। কিন্তু ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়নি। যিনি প্রার্থী হবেন তিনিও জানেন না তিনি ভোটার কি না। তাছাড়া মনোনয়নপত্রে ৩০০ ভোটারের স্বাক্ষর থাকতে হবে। ভোটার তালিকা প্রকাশ না হলে এটা সম্ভব হচ্ছে না।
এ ছাড়া স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন, ২০০৯ এর ৫ (৩) উপধারায় বলা হয়েছে, মেয়রের পদসহ করপোরেশনের শতকরা ৭৫ ভাগ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইলে এবং নির্বাচিত কাউন্সিলরগণের নাম সরকারি গেজেটে প্রকাশিত হইলে, করপোরেশন, এই আইনের অন্যান্য বিধান সাপেক্ষে, যথাযথভাবে গঠিত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে।
আইন অনুযায়ী, উত্তর সিটি করপোরেশনে নতুন যুক্ত হওয়া ১৮টি মিলে কাউন্সিলর শতকরা ৭৫ ভাগ হয় না। কারণ নতুন ১৮টিতে তো নির্বাচনই হয়নি। সে হিসাবে মেয়র পদই তো গঠিত হচ্ছে না। কারণ মেয়র পদ গঠন হতে হলে ৭৫ ভাগ কাউন্সিলর থাকতে হবে।
এ ছাড়া সম্প্রসারিত ১৮টি ওয়ার্ডে যারা কাউন্সিলর হবেন তারা কত দিনের জন্য নির্বাচিত হবেন। তারা কি পাঁচ বছরের জন্য হবেন, না বাকী সময়ের জন্য নির্বাচিত হবেন- সে বিষয়েও প্রশ্ন তোলা হয় রিট আবেদনে।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৩০ নভেম্বর মেয়র আনিসুল হকের আকস্মিক মৃত্যুর পর ডিএনসিসির মেয়র পদে উপনির্বাচনের জন্য গত ৯ জানুয়ারি তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। একই সঙ্গে ওই দিন ডিএসসিসির নতুন সংযোজিত ১৮টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে নির্বাচনেরও তফসিল ঘোষণা করা হয়। একই সময়ে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের ৬টি করে ১২টি সংরক্ষিত মহিলা আসনের নির্বাচন করার কথা বলা হয়। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি ভোট গ্রহণ হওয়ার কথা।
দৈনিক দেশজনতা /এন আর