নিজস্ব প্রতিবেদক:
আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কোনো কর্মসূচি দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বৃহস্পতিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘ওয়েস্টার্ন ব্রিজ ইম্প্রুভমেন্ট প্রকল্পের আওতায় রংপুর জোনের ১৯টি এবং রাজশাহী জোনের ১৬টি ব্রিজের নির্মাণ কাজের চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
প্রসঙ্গত, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার রায়ের দিন ৮ ফেব্রুয়ারি। এদিনকে ঘিরে ইতিমধ্যে রাজনৈতিক মাঠ উত্তপ্ত। রায় মনপুত না হলে বিএনপি সরকার পতনের আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছে। আর সরকার ও আওয়ামী লীগের পক্ষেও প্রতিহতের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। ওই দিন আওয়ামী লীগ কোনো কর্মসূচি দিবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের কোনো কর্মসূচির প্রয়োজন নেই। আমাদের পক্ষ থেকে উস্কানিমূলক কিছুই হবে না। আমরা সরকারে আছি, দেশের শান্তি ও স্থিতি বজায় রাখার দায় আছে আমাদের। আমরা সতর্ক থাকব, যদি কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা হয়, উস্কানিমূলক নাশকতা জাতীয় কিছু করা হয় এবং সহিংতা দেখা যায়, তাহলে জনগণকে সাথে রেখে উদ্ভূত পরিস্থিতির সমুচিত জবাব দেওয়া হবে।’
গত ৩০ জানুয়ারি খালেদা জিয়া আদালত থেকে ফেরার পথে হাইকোর্টের সামনে পুলিশের ওপর যারা হামলা করেছে, তাদের ‘অনুপ্রবেশকারী’ বলে দাবি করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফখরুলের ওই বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এ হামলার ফুটেজ কিন্তু মুছে যায়নি। এ হামলা কিভাবে হয়েছে তা দিবালোকের মতো পরিস্কার। এটা অনুপ্রবেশ নয়, এটা পূর্ব পরিকল্পিত জঙ্গি স্টাইলে হামলা। এ হামলার মাস্টারমাইন্ড হচ্ছে বিএনপির নেতৃত্ব, তারাই এ হামলা করিয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘সেদিন হাইকোর্টের সামনে যে ধরনের হামলা হয়েছে, তাতে যারা জড়িত তাদের গ্রেফতার না করে কী করব? কারা কারা ওখানে ছিল ভিড়িও ফুটেজ দেখে গ্রেফতার করা হয়েছে। এখানে বিএনপিকে নির্বাচন থেকে সরিয়ে দেয়ার জন্য গ্রেফতার হয়নি। এ হামলায় পুলিশকে দোষ দিতে পারবে না, কারণ হামলার উস্কানি তারাই দিয়েছে, তারাই ঘটনা সাজিয়েছে এবং প্রকাশ্য ঘটিয়েছে।’
আস্কারা দিলে ভবিষ্যতে আরও ভয়াবহ ঘটনা ঘটবে উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা কি মানুষের জানমাল রক্ষায় এ ধরনের ঘটনায় বিনা বিচারে ঝুঁকির মুখে ফেলে দিব? এ ধরনের ঘটনাকে আস্কারা দিলে ভবিষ্যতে আরও ভয়াবহ ঘটনার পুনুরাবৃত্তি ঘটবে এবং সেই কারণে সরকার এখানে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করতে পারে না।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি