যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে শান্তি সবকিছু করব।
ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা বলেন ট্রাম্প। বৈঠক থেকে তিনি আশ্বস্ত হয়েছেন, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রস্তুত রয়েছেন ফিলিস্তিনের এই নেতা।
ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে সরাসরি আলোচনা হয় না তিন বছরেরও বেশি সময়। ফলে তাদের মধ্যে ‘শান্তি চুক্তি’ অন্য যেকোনো চুক্তির চেয়ে কঠিনতম।
ট্রাম্পের সফরের বিরোধিতা করে পশ্চিম তীর ও গাজায় ব্যাপক বিক্ষোভ করেছে ফিলিস্তিনিরা। তবে ফিলিস্তিনের বিষয়ে সুর নরম করে কথা বললেও নীতিগত পরিবর্তনের কোনো কথা বলেননি তিনি।
মঙ্গলবার মধ্যপ্রাচ্য সফর শেষ করছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এর আগে দুই দিন সৌদি আরব সফর শেষে সোমবার ইসরায়েলে পৌঁছান ট্রাম্প ও তার সফরসঙ্গীরা।
ইসরায়েল সফরের প্রথম দিনে ট্রাম্প ইরানের পরমাণু কার্যক্রম নিয়ে সতর্কতা উচ্চারণ করেন এবং বলেন, ইরানকে কখনো পরমাণু অস্ত্রধারী দেশ হতে দেওয়া হবে না। এ ছাড়া ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক আরো শক্তিশালী করার ওয়াদা করেন তিনি।
ট্রাম্প বলেছেন, ‘আশার শক্তি’ নিয়ে তিনি বেথেলহেমে এসেছেন। এখানে মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। ট্রাম্প বলেন, ‘ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে শান্তি চুক্তিতে পৌঁছানোর চেষ্টা করতে আমি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং এ লক্ষ্য পূরণে তাদের সাহায্য করার ক্ষেত্রে যা করার আছে আমি সবকিছু করব।’
ট্রাম্প আশ্বাস দিয়েছেন, ‘শান্তি স্থায়ী করতে আমি এই নেতাদের সঙ্গে ভবিষ্যতে কাজ করার বিষয়ে ভাবছি।’ বিশ্বাসের সঙ্গে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য পূরণে তাকে সহযোগিতা করার কথা বলেছেন মাহমুদ আব্বাস।
প্রেসিডেন্ট আব্বাস জানিয়েছেন, তিনি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ‘মহৎ ও সম্ভাব্য মিশনকে’ স্বাগত জানিয়েছেন এবং শান্তি প্রতিষ্ঠায় তার সব প্রচেষ্টার অংশীদার হতে চেয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার বেথেলহেমে ট্রাম্প তার কথা শুরু করেন যুক্তরাজ্যের মানচেস্টারে ভয়াবহ হামলার বিষয়ে নিন্দা জানানোর মধ্য দিয়ে। তিনি বলেন, ‘অনেক নিরীহ, নিরপরাধ, সুন্দর মানুষ, যারা নিজেদের মতো জীবন উপভোগ করছিলেন, কিছু পথভ্রষ্ট শয়তানদের হাতে হত্যার শিকার হয়েছেন তারা।’
মঙ্গলবার আবার জেরুজালেমে যাবেন ট্রাম্প। সেখানে স্মৃতিবিজড়িত ইয়াদ ভাশেম হলোকাস্ট পরিদর্শন করবেন এবং ইসরায়েলি মিউজিয়ামে বক্তব্য রাখবেন।
প্রথম বিদেশ সফরে একগুচ্ছ দেশ ও সংস্থা ভ্রমণ করছেন ট্রাম্প। বুধবার রোম ও ব্রাসেলসে যাবেন তিনি। এ দিন পোপ ফ্রান্সিসের সঙ্গে আলোচনা করবেন। বৃহস্পতিবার ব্রাসেলসে ন্যাটোর বৈঠকে অংশ নেবেন। শুক্রবার সিসিলি দ্বীপে জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন।
দৈনিক দেশজনতা/এমএম