বিনোদন ডেস্ক:
জয়া আহসানকে দুই বাংলার সবচেয়ে শক্তিশালী অভিনেত্রী আখ্যা দিয়ে ভারতের নির্মাতা সৃজিত মুখোপাধ্যায় বলেছেন, ‘জয়াকে দিয়ে যেকোনও অভিনয় করানো যায়। সে যেকোনও চরিত্রের সঙ্গে মিশে যাওয়ার ক্ষমতা রাখে। এজন্যই তাকে ‘চোরঙ্গী’তে নেয়া হয়েছে। ওর ওপর আমার অগাধ আস্থা। চোখ বন্ধ করে ভরসা করা যায়।’
১৯৫৫ সালে প্রকাশিত মণিশংকর মুখোপাধ্যায়ের ‘চৌরঙ্গী’ উপন্যাস অবলম্বলে ষাড়ের দশকের শেষ দিকে (১৯৬৮ সালে) নির্মিত ছবিতে বাংলা ছবির মহানায়ক উত্তম কুমার সহ শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায়, বিশ্বজিৎ, সুপ্রিয়া দেবী ও অঞ্জনা ভৌমিক অভিনয় করেছিলেন। ওই ছবিতে সুপ্রিয়া দেবী করবী চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। এবার গুরুত্বপূর্ণ ওই চরিত্রে দেখা যাবে জয়া আহসানকে।
তবে পঞ্চাশ দশকের কলকাতার চৌরঙ্গী অঞ্চল ও তৎকালীন জীবনধারার সঙ্গে বর্তমানের যে পার্থক্য সেটিই এবারের চৌরঙ্গীতে তুলে ধরা হবে। আর তাই ছবিটিকে চৌরঙ্গীর ‘রিমেক’ বলতে নারাজ পরিচালক।
মঙ্গলবার দুপুরে গণমাধ্যকে সৃজিত মুখোপাধ্যায় বললেন, ‘আমরা পুরোনো ‘চৌরঙ্গী’ রিমেক করছি না। এটা অন্য রকম ছবি হবে। এখানে গল্প বলার ধরনটাই হবে আলাদা। এত বছর পর হোটেল সংস্কৃতির চিত্রটা পাল্টে গেছে। তাই আমাদের গল্পটা ২০১৮ সালের প্রেক্ষাপটে তৈরি হবে।’
তবে ভারতের বাংলা চলচ্চিত্রের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী সুপ্রিয়া দেবীর চরিত্রে অভিনয় করতে পেরে দারুণ উচ্ছ্বসিত জয়া আহসান বলেন, ‘এটি খুব জনপ্রিয় উপন্যাস। আর সুপ্রিয়া দেবীর চরিত্রে আমি অভিনয় করছি, এটা অবশ্যই আমার জন্য ভালো খবর। সৃজিতের সঙ্গে আগেও ভালো কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে, আশা করছি এবারও হবে।’
শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মস ও সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ম্যাচকট প্রোডাকশনের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত ‘চৌরঙ্গী’তে জয়া আহসান ছাড়াও প্রসেনজিৎ, আবীর চট্টোপাধ্যায়, মমতা শংকর, যীশু সেনগুপ্তকে দেখা যাবে।
প্রসঙ্গত, অভিনেত্রীর বাইরে সুপ্রিয়া দেবীর আরেকটি পরিচয় তিনি ভারতীয় বাংলা চলচ্চিত্রের মহানায়ক উত্তম কুমারের জীবনসঙ্গী ছিলেন। প্রথম স্বামী বিশ্বনাথ চৌধুরীর সঙ্গে সংসার ছেড়ে সুপ্রিয়া জীবন শুরু করেছিলেন সে সময়কার সর্বাধিক জনপ্রিয় নায়ক উত্তম কুমারের সাথে। উত্তমের প্রয়াণের পর আর সংসারও করেননি। জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত উত্তমের স্মৃতি বুকে আগলে বেঁচে ছিলেন।
দৈনিক দেশজনতা /এন আর