আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
আসমা, মেডিকেল কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। স্থানীয় এক নেতার আত্মীয় তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। আসমা রাজি না হওয়ায় শনিবার প্রকাশ্যে তাকে গুলি করে হত্যা করেন তিনি। ঘটনাটি পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের কোহাতের। আসমা প্রদেশের অ্যাবোটাবাদ মেডিকেল কলেজের ছাত্রী। ছুটিতে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে বাড়ি এসে আসমা চিরতরে চলে গেলেন না ফেরার দেশে।
নিহতের পরিবারের বরাত দিয়ে কোহাত ডেভেলপমেন্ট অথরিটি পুলিশ স্টেশনের কর্মকর্তা গুল জনান বলেন, স্থানীয় পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) এক নেতার আত্মীয় মুজাহিদ আফ্রিদি আসমাকে বিয়ে করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। আসমা তাতে রাজি হননি। এরপর তিনি আসমাকে রাজি করাতে পরিবারকেও চাপ দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ছুটি কাটাতে গত শনিবার আসমা তার এক বোনের সঙ্গে বাড়িতে পৌঁছান। মুজাহিদ এবং তার সহযোগী সাজিদ তাকে দেখামাত্র গুলি ছুঁড়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। পরে আসমাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার তার মৃত্যু হয়। আসমার শরীরে তিনটি গুলি লেগেছে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা গুল জনান।
তিনি আরো জানান, মৃত্যুর আগে হাসপাতালে আসমা জানিয়ে গেছেন, মুজাহিদই তাকে গুলি করেছেন। কোহাতের পুলিশ কর্মকর্তা আব্বাস মাজিদ জানান, পাকিস্তান পেনাল কোড ৩২৪ ও ৩০২ অনুযায়ী মুজাহিদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তাকে ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি