নিজস্ব প্রতিবেদক:
আদালতের রায় মেনে সংগঠনের নিবন্ধন দেয়ার দাবিতে মানববন্ধন করেছে গ্রামীণফোন এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন (জিপিইইউ)। শনিবার বিকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলন শেষে প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে তারা। এতে গ্রামীণফোনের দেড় শতাধিক কর্মী অংশ নেন। সংবাদ সম্মেলনে গ্রামীণফোন পিপলস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ও এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মিয়া মো. শফিকুর রহমান মাসুদ বলেন, আদালত অবমাননা ও আইন ভঙ্গ করা হচ্ছে। জিপিইইউয়ের নিবন্ধন দিতে সময়ক্ষেপণ করা হচ্ছে। আশঙ্কা কোনো মহল এখন অপচেষ্টা চালাচ্ছে। দ্রুত দাবি মানা না হলে আইনানুগ পদক্ষেপসহ বৃহত্তর কর্মসূচি দেয়ার ঘোষণা দেন তিনি।
নিবন্ধন দাবির বিস্তারিত তুলে ধরতে গিয়ে মিয়া মো. শফিকুর রহমান মাসুদ বলেন, ২০১৬ সালের জুনে গ্রামীণফোন এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের (জিপিইইউ) নিবন্ধনের আপিল মঞ্জুর করেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল। শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের দ্বৈত বেঞ্চের চেয়ারম্যান বিচারপতি শামসুল হুদা এবং সদস্য বিচারক গোলাম রব্বানি জিপিইইউ-এর পক্ষে রায় দেন। আদালত ইউনিয়নের নিবন্ধন চাওয়ার আবেদন গ্রহণ করে শ্রম পরিচালককে নিবন্ধন দিতে নির্দেশ দেন। কিন্তু এ রায়ের নকল পেতে প্রায় দেড় বছরের বেশি সময় লেগে যায় জানিয়ে তিনি বলেন, রায়ের সার্টিফাইড কপি পেতে জিপিইইউয়ের পক্ষে ছয় বারের বেশি আবেদন করলেও কোনো কপি দেয়া হয়নি। শেষে জিপিইইউয়ের পক্ষে হাইকোর্টে একটি রিট মামলা করা হয়। রিটের শুনানি শেষে আদালত এক মাসের মধ্যে রায়ের কপি প্রদানের জন্য শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালকে নির্দেশ দেয়। অবশেষে দীর্ঘ ছয় বছর পর বিগত ৯ জানুয়রি রায়ের কপি মেলে। এরপর ১০ জানুয়ারি রেজিস্ট্রার অব ট্রেড ইউনিয়নের কাছে রেজিস্ট্রেশন প্রদানের জন্য আবেদন করার কথা উল্লেখ করে সংগঠনটির এই নেতা অভিযোগ করেন, যেখানে শ্রম আইনের ১৮২ নম্বর ধারা অনুযায়ী সাত দিনের মধ্যে এই রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট দেয়ার কথা, যেখানে আজ ১৭ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও সার্টিফিকেট দেয়া হয়নি, যা আদালত অবমাননা ও আইন ভঙ্গের শামিল।
জিপিইইউ সভাপতি ফজলুল হক বলেন, ইউনিয়ন গঠন হওয়ার পর থেকে গ্রামীণফোনে একজন কর্মীও চাকরিচ্যুত হয়নি। ২০১২ সাল থেকে এখন পর্যন্ত গ্রামীণফোনে যারা চাকরি ছেড়েছেন তারা স্বেচ্ছায় বেনিফিট নিয়ে গেছেন। ইউনিয়ন জ্বালাও পোড়াওয়ের জন্য নয়। এ ধারণা অনেক পুরনো। এখন আলোচনার মাধ্যমেই সব সমস্যার সমাধান হয়।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি