২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ১:১৩

শব্দ দূষণ প্রতিরোধে আইন বাস্তবায়নের দাবি : পরিবেশবাদী সংগঠন

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজধানীসহ সারা দেশে শব্দ দূষণ এখন মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছেছে। তাই এটিকে এখন ‘শব্দ সন্ত্রাস’ উল্লেখ করে শব্দ দূষণ প্রতিরোধ আইন বাস্তয়ানসহ ১৩ দফা দাবি জানিয়েছে পরিবেশবাদী বিভিন্ন সংগঠন।

শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘শব্দ দূষণ এখন জীবন বিনাশী শব্দ সন্ত্রাস; গভীর সংকটে আমাদের পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য, সমাধানের উপায় কী’? শীর্ষক আলোচনা সভা থেকে এসব দাবি জানানো হয়। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট (ডব্লিউবিবি ট্রাস্ট), ডক্টরস ফর হেলথ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট ও সুন্দর জীবন নামে কয়েকটি পরিবেশবাদী সংগঠন যৌথভাবে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে ।

সভায় বক্তারা বলেন, ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে শব্দদূষণের মাত্রা ৮০ ডেসিবেল থেকে ১১০ ডেসিবেল। কোনো কোনো স্থানে তা আরও বেশি। এই মাত্রা সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েই চলেছে। যানবাহনে উচ্চ মাত্রার হর্ন, হাইড্রোলিক হর্ন ব্যবহার, নির্মাণজনিত শব্দ, ইটভাঙা মেশিনের শব্দ ছাড়াও গায়ে হলুদ, বিয়ে, খৎনা, জন্মদিন, নববর্ষসহ নানা উপলক্ষে অতি উচ্চমাত্রার শব্দ সৃষ্টিকারী সাউন্ড সিস্টেম ব্যবহার এবং উচ্চ শব্দে গান-বাজনার মাধ্যমে শব্দ সন্ত্রাস করা হচ্ছে।

বক্তারা বলেন, শব্দ দূষণের কারণে মানুষের শ্রবণশক্তি কমে যাচ্ছে, রাতের ঘুম হারাম হচ্ছে, হৃদকম্পন ও নতুন হৃদরোগী বাড়ছে, কর্মক্ষমতা হ্রাস এবং শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। সুতরাং এই শব্দ সন্ত্রাস যে কোনো মূল্যে বন্ধ করতে হবে।

এ সময় সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে বেশ কিছু দাবি তুলে ধরা হয়। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণ আইনের পূর্ণ বাস্তবায়ন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে মোবাইল টিম গঠন করে শব্দ সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া, রাতে আবাসিক এলাকায় নির্মাণকাজসহ শব্দ সৃষ্টিকারী যে কোনো ধরনের কাজ বন্ধ রাখা, গাড়িতে উচ্চমাত্রার হর্ন যাতে না থাকে তা নিশ্চিত করা, অপ্রয়োজনীয় হর্ন ব্যবহার না করার বিষয়ে চালকদের প্রশিক্ষণ ও সচেতন করাসহ ১৩ দফা দাবি জানানো হয়।

বাপার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ডা. রেজওয়ানুল হক বুলবুল, শব্দ দূষণ বিষয়ক গবেষক এবং হেলথ অ্যান্ড হোপ হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডা. এম এইচ চৌধুরী লেলিন, অ্যাকশন এইড বাংলাদেশের উপ-ব্যবস্থাপক অমিত রঞ্জন দে প্রমুখ।

দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ

প্রকাশ :জানুয়ারি ২৬, ২০১৮ ৪:১৪ অপরাহ্ণ