নিজস্ব প্রতিবেদক:
দেশের বাজারে বিক্রি হওয়া কিছু ব্র্যান্ডের গুড়ো দুধে ভয়াবহ মাত্রায় সিসা পাওয়া গেছে, যা মানবদেহে বিশেষ করে শিশুদের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। বৃহস্পতিবার সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের পাঠানো এক চিঠিতে এসব কথা বলা হয়েছে। গুড়ো দুধের ভয়াবহতা উল্লেখ করে নিরাপদ খাদ্য কতৃপক্ষের পাঠানো চিঠি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিএসটিআই মহাপরিচালক ও দেশের সকল কাস্টমস কমিশনার বরাবরও পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, গুড়ো দুধ বাল্ক/ ব্যাগে বিদেশ থেকে আমদানির মাধ্যমে দেশে রি-প্যাকিং হয়ে বাজারে বিক্রি হচ্ছে। নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চয়তা বিধানের লক্ষে লক্ষে আমদানি পর্যায়ে তা নিয়ন্ত্রণ করা একান্ত জরুরী। আমদানি করা গুড়ো দুধের প্রতিটি চালান বন্দর হতে খালাস করে ল্যাব টেস্টে সীসা (লেড) পরীক্ষার ফলাফল না আসা পর্যন্ত গুদামজাত করে নিজ জিম্মায় রাখতে হবে এবং কোনো অবস্থাতেই বাজারজাত করা হবে না মর্মে প্রতিটি আমদানিকারক কর্তৃক অঙ্গীকারনামা গ্রহণপূর্বক চালান খালাস করতে হবে।
চিঠিতে আরো বলা হয়েছে, আমদানি করা প্রতিটি চালানে নমুনা যথাযথভাবে সংগ্রহ করে ঢাকার এটমিক এনার্জি সেন্টার ও বিসিএসআইআর, আইপিএইচ পরীক্ষাগারকে গুড়ো দুধে লেড এর মাত্রা পরীক্ষার জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এ অবস্থায় প্রতিটি চালানের নমুনা সিলগালা করে বর্নিত যেকোনো একটি ল্যাবে প্রেরণ করে প্রতিটি চালানের বিপরীতে আমদানিকারক কর্তৃক প্রদত্ত অঙ্গীকারনামা এবং ল্যাব টেস্টের ফলাফলের অনুলিপি নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বরাবর পাঠাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিষয়টা নিয়ে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মাহফুজুল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। কোন ব্র্যান্ডের গুড়ো দুধে হেভি মেটাল (লেড) পাওয়া গেছে তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি এখন প্রকাশ করা যাবে না।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি