নিজস্ব প্রতিবেদক:
গত ২৩ দিনে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। রংপুর বিভাগের আট জেলার বিভিন্ন স্থানে শীতে আগুন পোহাতে গিয়ে তারা দগ্ধ হয়েছিলেন। এর মধ্যে বুধবার ২জন মারা গেছেন। অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে এখন চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরো ৫৬ জন নারী ও পুরুষ। এদের মধ্যে ১০জনকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে বলে হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার মামুনুর রশিদ জানান, বুধবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ি উপজেলার জামেলা বেওয়া (৬৬) ও পঞ্চগড় সদরের সোনাইমুড়ির গৃহবধূ আফরোজা বেগম (২২) মারা যান।
এদিকে গত ২৩ দিনে মারা গেছেন- রংপুরের কাউনিয়ার গোলাপি বেগম (৩০), রংপুর মহানগরীর নজিরেরহাটের আফরোজা খাতুন (৪০); মহানগরীর জুম্মাপাড়া পাকার মাথার রুমা খাতুন (৬৫); মহানগরীর মাহিগঞ্জের মনি বেগম (২৫), তারাগঞ্জ উপজেলার জামেরন বেওয়া (৮০); পীরগঞ্জ উপজেলার হাসু বেগম (৬৫); নীলফামীর সদরের বাসন্তী রাণী (৩৯), আফরোজা বেগম (৭৫), রেহেনা বেগম (২৫), আফরোজা বেওয়া (৭৫) ও মারুফা খাতুন (৩০); কুড়িগ্রামের সোমা (৪১) ও নুরিজা (৩০); লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার রুমকি বেগম (২৭), ফাতেমা বেগম (৩২) ও রোকেয়া (২৭); সদরের শাম্মি আখতার (২৭), আলো বেগম (২২), শুকমনি (৭০), দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার নারায়নপুর এলাকার মকবুল (৬২), বুলবুল(৫৪), বীরগঞ্জ উপজেলার রানী (২৫) ও গীতা রানী (২৫), ঠাকুরগাঁও শহরের থানাপাড়ার আঁখি আক্তার (৪৫) এবং পঞ্চগড়েরর আরজিনা (২৮)।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. অজয় কুমার রায় জানান, হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে এখনও দগ্ধ ৫৬জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের মধ্যে ১০জনকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে।
তিনি জানান, চিকিৎসাধীন বেশির ভাগই নারী। এদের শরীরের ৩০ থেকে ৭০ শতাংশ পুড়ে গেছে। দগ্ধদের বেশির ভাগই গরীব সহায় সম্বলহীন হওয়ায় প্রয়োজনীয় ওষুধের অভাবে তাদের চিকিৎসা হচ্ছে না।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ