লাইফ স্টাইল ডেস্ক:
একটি প্রাসাদের সামনে যখন আপনি দাঁড়াবেন তখন আপনার চোখের সামনে শুধু প্রাসাদের সৌন্দর্যই ধরা দেবে। আর আপনি যদি আরো বেশি কিছু দেখতে চান তাহলে আপনার জানতে হবে এমন সুন্দর প্রাসাদের সঠিক ইতিহাস। ইতিহাস ও সৌন্দর্য দুটি যদি আপনি একসাথে দেখতে চান তাহলে আপনাকে যেতে হবে সেন্ট পিটার্সবার্গে পেটারহোফ প্রাসাদে। এই প্রাসাদখানা আপনাকে যেমন তার সৌন্দর্য দিয়ে মোহিত করবে। ঠিক তেমনে কালের নানা ইতিহাসের সাক্ষী হিসেবে আপনাকে করবে শিহরিত।
পেটারহোফ প্রাসাদটি সেন্ট পিটার্সবার্গের পশ্চিমে, ফিনল্যান্ড উপসাগরের কূলে অবস্থিত প্রাসাদটি ‘রুশ ভার্সাই’ নামেও পরিচিত। আবার অনেকের কাছে এটি এখন ‘গ্র্যান্ড প্যালেস’ নামেও পরিচিত। পিটার দ্য গ্রেট (যে নামের অর্থ জার্মানিতে হয় ‘পিটারের আদালত’) ৭২৩ খ্রিষ্টাব্দে প্রাসাদটির উদ্বোধন করেন। তবে এটিকে তিনি তার গ্রীষ্মকালীন বাসস্থান হিসেবে এটি ব্যবহার করা জন্য।
প্রাসাদটির অন্যতম আকর্ষণ হল গ্র্যান্ড ক্যাসকেড কিংবা স্যামসন ফাউন্টেনের মতো ফোয়ারা। আর নান আকৃতির ভাস্কর্য দেখেও আপনি অবাক হবেন। আপনি যদি লম্বা ছুটি কাটাতে চান তাহলে এই স্থানটি আপনার জন্য উপযুক্ত। এর আলাদা আলাদা সাজ-সজ্জা ভালো মতো দেখতে চাইলে, অথবা এই পুরো শহরের সৌন্দর্য উপভোগ করতে চাইলে এক বেলা অথবা এক দিনে কিছুই দেখা হবে না। সকালে সুর্য ওঠার সময় প্রাসাদটি যেমন আপনাকে এক রূপ দেখাবে। ঠিক তেমনে সুর্য ডুবে যাওয়ার সময়ও আপনাকে দেখাবে আরেক রূপ। এছাড়া প্রাসাদের আশেপাশের সাজ-সজ্জা দেখে শেষ করার জন্যও আপনাকে দিতে হবে অনেকটা সময়।
একা, দুজন অথবা পুরো পরিবারের সাথে আনন্দে সময় কাটানোর জন্য এর থেকে ভালো জায়গা আর হতেই পারে না। তবে আপনি যখনই যাবেন গ্র্যান্ড প্যালেস দেখার জন্য, অবশ্যই আপনি আগে থেকে ভালো মতো সব কিছুর খোঁজ খবর নিয়ে তারপর যাবেন। তবে এখানে যাওয়ার আগে একটা জিনিস মাথায় রাখলেই চলবে, তা হচ্ছে তাদের স্থানীয় সরকারি ছুটির সময় না গেলেই ভালো করবেন। কারণ সরকারি ছুটির দিনগুলোতে ওখানে একটু মানুষের ভির বেশি থাকে।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি