২১শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | বিকাল ৩:২৮

রাজার ঘোড়া এখন ব্যবহৃত হচ্ছে কৃষকের হালচাষে

নিজস্ব প্রতিবেদক:

তৎকালীন রাজার রাজ্য শাসনে যাতায়াতের দ্রুতগামী মাধ্যম ঘোড়ার খুরের শব্দ এখন আর শোনা যায় না। তবে কুড়িগ্রামের জনপদে এখনো শোনা যাচ্ছে শ্রমজীবী মানুষের মালামাল বহনে ব্যবহৃত ঘোড়ার গলায় ঝুলানো নুপুরের শব্দ। গ্রাম্য ভাষায় যা ঘুঘরা নামে পরিচিত।

কুড়িগ্রামের নয়টি উপজেলায় মালবাহী ঘোড়ার প্রচলন শুরু হয়েছে। এখানে ঠেলাগাড়ির পরিবর্তে এখন দৈনিক শ্রমজীবী ও দিনমজুর শ্রেণির অনেকেই একটি ঘোড়া কিনে তা দিয়ে গাড়ি বানিয়ে মালামাল বহন করে উর্পাজন করছেন। ফলে এখানকার সর্বত্রেই চোখে পড়ছে মালবাহী ঘোড়ার গাড়ি।

মালবাহী ঘোড়ার চোখে পড়লেও এবার এ জনপদে ঘোড়াকে ব্যবহার করা হচ্ছে হালচাষে। কৃষক গরুর পাশাপাশি ঘোড়াকে বস মানিয়ে এখন হালচাষে ঘোড়াকে ব্যবহারের চেষ্টা চালাচ্ছে। ঘোড়াকে ব্যবহার করে চলতি বোরো মৌসুমে ক্ষেতে হালচাষ করার এক দৃশ্যপট চোখে পড়েছে কুড়িগ্রামের সীমান্তঘেঁষা উপজেলা ফুলবাড়ীর ধর্মপুর মিয়াপাড়া গ্রামে।

এ গ্রামের কৃষক রিয়াজ উদ্দিন (৩৫) ও কৃষক ময়েজ উদ্দিন (২৮) তাদের বোরো জমিতে সেচ দিয়ে জমির কাদামাটি সমান্তরাল করতে একটি ঘোড়ার ঘাড়ে মই বেঁধে দিয়ে হালচাষ করছেন। কৃষক রিয়াজ উদ্দিন জানান, তিনি এবার ৩ বিঘা জমিতে বোরো চাষ করতে এই ঘোড়াকে হালচাষে ব্যবহার করছেন।

গরু দিয়ে বোরো জমিতে মই দিতে বিঘাপ্রতি ৩০০ টাকার খরচ বাঁচাতে তিনি তার সখের ঘোড়াটি দিয়ে হালচাষ করছেন। সামনের দিনে গরুর পরিবর্তে ঘোড়া দিয়েই সকল হালচাষ করবেন এমনটি জানান কৃষক রিয়াজ উদ্দিন।

দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ

প্রকাশ :জানুয়ারি ২৪, ২০১৮ ৩:১৮ অপরাহ্ণ