নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিদায়ঘণ্টা বেজে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। আজ মঙ্গলবার এক অনুষ্ঠানে রিজভী সরকারপ্রধানের উদ্দেশে বলেন, আপনার দিন শেষ। আপনার বিদায়ঘণ্টা বেজে গেছে। এই ঘণ্টা আপনার জন্য বাজছে। আপনাকে ক্ষমতা থেকে বিদায় নিতেই হবে। মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক মরহুম আরাফাত রহমান কোকোর ৩য় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এ মন্তব্য করেন। আরাফাত রহমান কোকো স্পোর্টিং ক্লাব এই সভার আয়েজন করে। সংগঠনের সভাপতি আবিবুল বারী আয়হানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালী, সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন, ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল হক, জাতীয়তাবাদী ক্রীড়া দলের সভাপতি কাজী শামীম তারেক প্রমুখ।
রিজভী বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন বন্ধ করে দেয়া হলো। কেনো কারণ তারা ভোট হলে জয়ী হবেন না। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সিডিউল ঘোষণা করা হয়েছে বা আজকে হবে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ঠিকঠাক হয়ে যাবে। কারণ তারা তাদের পছন্দের লোককে সেখানে বসিয়ে দিবে। এখানে তো জনগণের ভোট দেয়ার জায়গা নাই। তিনি বলেন, যে পার্লামেন্টে একই ধরনের আওয়াজ হয়, সঙ্গীত সেখান থেকে উচ্চারিত হয়, গাওয়া হয়। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে দেখবেন সে পার্লামেন্টে কোনো রিটও হবে না। আমার যতটুকু মনে হয়। সবকিছুই সাজানো গোছানো আছে। সেটা তারা করতে পারবে।
ন্যায়বিচার ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে, মানুষের বিচার পাওয়ার অধিকার কারো নেই মন্তব্য করেন রুহুল কবির রিজভী বলেন, শিক্ষা ব্যবস্থা শেষ। খাতায় না লিখলেও পাশ করে যাবে। প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে প্রচুর অর্থের বিনিময়ে। আজ সবই ফাঁস হচ্ছে। শিক্ষামন্ত্রীর পিএর শত শত কোটি টাকা, এটা কি প্রশ্ন ফাঁসের টাকা। পরীক্ষায় পাশ করিয়ে দেয়ার টাকা! তিনি বলেন, অর্থমন্ত্রী বলেছেন, পার্লামেন্টে যারা নাই তাদের অংশগ্রহণ থাকবে না। তাহলে কারা থাকবে। পার্লামেন্টে যারা আছে তারা তো ভোটারবিহীন। বিএনপির এই নেতা বলেন, সরকার আগামী নির্বাচন নিয়ে দুরভীসন্ধি, মান্টারপ্লান করছেন। আরেকটা ভোটারবিহীন নির্বাচন করবেন। তারা আরো লুটপাটের জন্য আবার ক্ষমতায় আসতে চায়।
রিজভী বলেন, তারা অনাচার-অবিচার করছে একটাই উদ্দেশ্যে তাদেরকে ফাঁকফোকরের মধ্যে দিয়ে ক্ষমতা আঁকড়ে রাখতে হবে। এই সোনার হরিণ তারা খোয়াতে রাজি হয়। সোনার হরিণ কোনোভাবেই হাতছাড়া করতে রাজি নয়। এটা করতে দিয়ে যত ধরনের খুন-খারাপি, গুম-হত্যা, রক্তগঙ্গা বইয়ে দিতে হয় তারা তা করবে। জনগণের এই প্রতিবাদের মুখেও সরকার মনে করছে আমি যদি গুম করি, আমি যদি দুর্নীতি করি, একের পর এক বিরোধী দলের তরুণ নেতাদের যদি লাশ ফেলে রাখি জনগণ ভয়ে চমকে যাবে, তারা সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলবে না। প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচনের কথা বলবে না। অবাধ ভোটের কথা বলবে না। এই কারণেই তারা সকল নীলনকশা করে যাচ্ছে। নীলনকশা অনুযায়ী অনেকদিন ধরেই কাজ করছে। আরাফাত রহমান কোকো রাজনৈতিক প্রতিহিংসার স্বীকার বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি