নিজস্ব প্রতিবেদক:
দ্বিতীয় পর্বের মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হলো ৫৩তম বিশ্ব ইজতেমা। রোববার সকাল ১০টা ১৮ মিনিটে মোনাজাত শুরু হয়। আরবি ও বাংলায় প্রায় ২৭ মিনিটের এই মোনাজাত পরিচালনা করেন কাকরাইল মসজিদের মুরব্বি হাফেজ মোহাম্মদ জোবায়ের। মোনাজাতে অংশ নিয়ে লাখ লাখ মুসল্লি মহান আল্লাহর দরবারে দুই হাত তুলে মুসলিম জাহানের সুখ-শান্তি, সমৃদ্ধি, অগ্রগতি ও সার্বিক কল্যাণ কামনা করেন।
মোনাজাতের প্রথম ১২ মিনিট পবিত্র কোরআন থেকে বিভিন্ন সুরার আয়াত তেলাওয়াত করা হয়। আর পরের ১৫ মিনিট বাংলায় বিগত দিনের ভুলের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা, বিশ্ব শান্তি ও মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ কামনা করা হয়। মোনাজাতের সময় আমিন আমিন ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে টঙ্গীর তুরাগপাড়। মোনাজাতে লাখ লাখ মানুষের জনসমুদ্রেও ছিল পিনপতন নীরবতা। যে যেখানে ছিলেন, সেখানে দাঁড়িয়ে কিংবা বসে দু’হাত তুলে মহান রবের দরবারে প্রার্থনা করেন। মুঠোফোন ও স্যাটেলাইট টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারের সুবাদে দেশ-বিদেশের মুসল্লিরাও একসঙ্গে হাত তোলেন মহান আল্লাহর দরবারে।
মোনাজাতের আগে রোববার বাদ ফজর থেকে ঈমান ও আমলের ওপর বাংলায় হেদায়তি বয়ান করেন বাংলাদেশের মাওলানা আব্দুল মতিন। বিশ্ব ইজতেমায় অংশগ্রহণকারীরা তো ছিলেনই, সঙ্গে রোববার ভোর থেকে মোনাজাতে শরিক হতে গাজীপুরসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে লাখ লাখ মানুষ ছুঁটে আসেন তুরাগপাড়ের ইজতেমা ময়দানে। ভোরের কনকনে হিমেল হাওয়া উপেক্ষা করে বাস-মিনিবাস, ট্রাক, পিকআপ, কার-মাইক্রোবাস, ট্রেন, লঞ্চ ও স্টিমারে করে টঙ্গীতে পৌঁছে মোনাজাতে শরিক হন তারা।
ইজতেমা ঘিরে প্রথম পর্বের মত শেষ পর্বেও নজিরবিহীন নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল পুরো ইজতেমা ময়দান। নৌ, স্থল ও আকাশ পথে ছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নজরদারি। পুলিশের সঙ্গে ছিল বিপুল সংখ্যাক র্যাব ও আনসার-ভিডিপির সদস্য। এবারের বিশ্ব ইজতেমার দু’পর্ব মিলে ৫ মুসল্লি ইন্তেকাল করেছেন। তাদের একজন মালেশিয়া ও আরেকজন দক্ষিণ আফ্রিকার।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি