নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রধান বিচারপতির পদ শূন্য থাকা বিষয়ক রিট শুনানি এ সপ্তাহে হচ্ছে না বলে আদেশ দিয়েছেন আদালত। রোববার আটর্নি জেনারেলের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন বিচারপতি জিনাত আরা ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দ সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ। রিটকারী আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ আদালত থেকে বের হয়ে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘আমার রিট আবেদনের শুনানিতে বিচারপতিরা ‘নট দিস উইক’ বলে আদেশ দেন।’
প্রধান বিচারপতির পদ শূন্য থাকা এবং নিয়োগ না দেওয়া কেন অসাংবিধনিক ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রিট আবেদনে হাইকোর্টের রুল চেয়েছেন আবেদনকারী। সংবিধানের ৯৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, আইনজীবী থেকে প্রধান বিচারপতিসহ বিচারপতি নিয়োগে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না- তাও জানতে চেয়ে রুল চাওয়া হয়েছে আবেদনে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২ অক্টোবর রাতে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার এক মাসের ছুটির কারণে বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞাকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে আইন মন্ত্রণালয়। পরে ছুটির বিষয়টি আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন। এরপর নানা নাটকীয়তার পর প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা ১৩ অক্টোবর রাতে অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন। যাওনার পথে হেয়ার রোডের বাসভবনের সামনে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি অসুস্থ না। আমি পালিয়ে যাচ্ছি না। বিচার বিভাগের স্বার্থে আমি স্বেচ্ছায় বিদেশ যাচ্ছি। আবার ফিরে আসব। প্রধানমন্ত্রীকে ভুল বোঝানো হয়েছে।’
এ সময় সাংবাদিকদের দেওয়া এক লিখিত বক্তব্যে এসকে সিনহা বলেন, ‘আমি সম্পূর্ণ সুস্থ আছি। কিন্তু ইদানিং একটা রায় নিয়ে রাজনৈতিক মহল, আইনজীবী, বিশেষভাবে সরকারের মাননীয় কয়েকজন মন্ত্রী ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে ব্যক্তিগতভাবে যেভাবে সমালোচনা করেছেন, এতে আমি সত্যিই বিব্রত।’ পরে অবশ্য এসকে সিনহা বিদেশ থেকে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন বলে সরকারের তরফে জানানো হয়। সেই থেকে পদটি শূন্য আছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি হিসেবে কার্যক্রম চালিয়ে নিচ্ছেন বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞা।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি