নিজস্ব প্রতিবেদক:
শহীদ আসাদের আত্মত্যাগে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন আরো গতিশীল হয় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, তার আত্মত্যাগের ধারাবাহিকতায় পরবর্তীকালে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বৈরশাসক আইয়ুব খানের পতন হয়। খবর বাসসের।
শহীদ আসাদ দিবস উপলক্ষে শুক্রবার দেয়া এক বাণীতে এ কথা বলেন শেখ হাসিনা। আজ শনিবার শহীদ আসাদ দিবস। ১৯৬৯ সালের এই দিনে পাকিস্তানি স্বৈরশাসক আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে এ দেশের ছাত্রসমাজের ১১-দফার মিছিলে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে শহীদ হন ছাত্রনেতা আসাদুজ্জামান।
আসাদ শহীদ হওয়ার পর তিন দিনের শোক পালন শেষে ওই বছরের ২৪ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের ছয়-দফা ও ছাত্রদের ১১-দফার ভিত্তিতে সর্বস্তরের মানুষের বাঁধভাঙা জোয়ার নামে ঢাকাসহ সারা দেশে। সংঘটিত হয় ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান। পতন ঘটে আইয়ুব খানের। শেখ হাসিনা বলেন, পাকিস্তানি শাসকদের বৈষম্যমূলক আচরণ এবং দমনপীড়নে বাংলার মানুষ যখন দিশেহারা, বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ছয়-দফা তখন বাঙালির মুক্তির দিশারি হিসেবে আবির্ভূত হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ছয়-দফার পক্ষে প্রবল জনমতের জোয়ার দেখে আতঙ্কিত সামরিক জান্তা আইয়ুব খান বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার মামলা করে, যা আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা নামে সমধিক পরিচিত। বৈষম্য ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর ঘোষিত ছয়-দফা আন্দোলনের মাধ্যমে বাঙালি জাতির স্বাধীনতা আন্দোলন নতুন মাত্রা পায়। বঙ্গবন্ধু পরিণত হন নিপীড়িত ও নির্যাতিত বাঙালির মুক্তির মূর্ত প্রতীকে। বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শহীদ আসাদসহ আত্মোৎসর্গকারী সকল শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ